বিয়ের পুজোর অজুহাতে ৬ লক্ষ টাকা খোয়ালেন এক তরুণী
বিয়ের পুজো দিয়ে তাঁর বিয়ের পথে সব বাধা কাটাতে গিয়ে ৬ লক্ষ টাকা খোয়ালেন এক তরুণী। পাল্টা এল অন্য চাপ।

তাঁর বিয়ে মোটামুটি স্থির হয়েছে। প্রেম করেই বিয়ে। কিন্তু ওই বছর ২৪-এর তরুণীর মনে একটা শঙ্কা কাজ করছিল। কারণ তাঁর যে কোষ্ঠী রয়েছে তাতে বিয়েতে বাধার উল্লেখ আছে। আর সে কথা তিনি জানতেন। তিনি চাননি তাঁর বিয়েতে কোনও বাধা উপস্থিত হয়।
এই সময় ওই তরুণী সোশ্যাল মিডিয়ায় এক জ্যোতিষীর খোঁজ পান। তিনি যোগাযোগ করেন জ্যোতিষীর সঙ্গে। জ্যোতিষী ওই তরুণীর কাছে সব শোনার পর তরুণীকে একটি নতুন কোষ্ঠীও তৈরি করে দেয়। জানায় বিয়ের সময় সমস্যা কাটাতে একটি পুজো করতে হবে।
এজন্য ২ হাজার টাকারও কিছু কম অর্থ ওই তরুণীর কাছ থেকে নেয় ওই জ্যোতিষী। কিন্তু এখানেই থামেনি ওই জ্যোতিষী। সে এরপর ওই তরুণীকে বিয়ের সময় সব সমস্যা কাটাতে আরও কয়েকটি পুজোর আয়োজন করতে হবে বলে জানায়।
একাধিক পুজো হবে। সেজন্য অর্থের প্রয়োজন। তরুণীও প্রতিটি পুজোর জন্য নানা অঙ্কের অর্থ প্রেরণ করতে থাকেন এই আশায় যে তাঁর বিয়ের সময় কোনও সমস্যা তৈরি হবেনা। নির্বিঘ্নে বিয়েটা সম্পন্ন হবে।
এভাবে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা পুজোর নামে দিয়ে দেওয়ার পরও ওই জ্যোতিষী টাকা চাইতে থাকায় তরুণীর একটা সন্দেহ হয়। তিনি সাফ জানিয়ে দেন আর কোনও টাকা তিনি দেবেন না। বরং যে টাকা তিনি এতদিন পুজোর জন্য দিয়েছেন তা যেন ওই জ্যোতিষী ফেরত দেয়।
সামান্য কয়েক হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার পর ওই জ্যোতিষী পাল্টা ওই তরুণীকেই জানায়, এভাবে যদি ওই তরুণী টাকা চেয়ে তার ওপর চাপ তৈরি করেন, তাহলে সে নিজেকে শেষ করে দেবে। আর তার কারণ হিসাবে ওই তরুণীর নাম বলে যাবে।
একথা ওই জ্যোতিষী একজনকে দিয়ে ফোন করিয়েও জানায়। যে নিজেকে আইনজীবী হিসাবে পরিচয় দেয়। এরপর বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ওই তরুণী পুলিশে বিষয়টি জানান। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবরটি প্রকাশের পর অনেকেই এমন জালিয়াতির ফন্দি সম্বন্ধে সতর্ক হয়েছেন।