রোজ মাঝরাতে ডাক ছেড়ে ঘুম ভাঙায় সে, রেগে যা করলেন বৃদ্ধ
রাতে অনেকদিন ধরেই তাঁর ভাল ঘুম হচ্ছিল না। এজন্য নয় যে তাঁর শারীরিক সমস্যা হচ্ছে। বরং পাশের বাড়ি থেকে ভেসে আসা ডাক তাঁর ঘুম ভাঙাচ্ছিল।

তিনি বৃদ্ধ হয়েছেন। রাতে একটা ভাল ঘুম না হলে তা তাঁর শরীরে প্রভাব ফেলে। কিন্তু সেই রাতের শান্তির ঘুমটাই উবে গিয়েছিল। একদিন দুদিন নয় টানা তাঁর মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যাচ্ছিল। যা তাঁর শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করছিল।
ক্রমে বিরক্তি বাড়তে থাকে বৃদ্ধের। রাত ৩টে বাজলেই একটা শব্দ নিয়ম করে তাঁর ঘুম ভাঙায়। আওয়াজটা আসে পাশের বাড়ি থেকে। রাধাকৃষ্ণ নামে ওই বৃদ্ধের বাড়ির পাশেই অনিল কুমারের বাড়ি।
রাধাকৃষ্ণের শোওয়ার ঘরের পাশেই অমিল কুমারের পোষ্য মুরগির ঘর। সেই মুরগি প্রতিদিন রাত ৩টে বাজলেই ডেকে ওঠে। মুরগি যে ভোররাত থেকে ডাকে এটা নতুন কিছু নয়। অনিল কুমারের মুরগিও তাই একদম ঘড়ি ধরে প্রতিদিন ডাকতে শুরু করে।
সেই মুরগির একটানা ডাকে ঘুম ভেঙে যায় রাধাকৃষ্ণের। তিনি অনেকদিন ধরেই এই আওয়াজ সহ্য করে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু মাঝরাতে ঘুম ভাঙা থেকে রেহাই পাননি। অগত্যা তিনি একটি অন্য পথ নেন।
কেরালার পাল্লিকল গ্রামের বাসিন্দা রাধাকৃষ্ণ রেভিনিউ ডিভিশনাল অফিসে এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তারা অভিযোগটি যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে দেখে। এরপর রাধাকৃষ্ণ ও অনিল কুমারকে তারা একসঙ্গে ডেকে পাঠায়।
তাদের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করে। নিজেরাও অভিযোগ খতিয়ে দেখার পর অবশেষে অনিল কুমারকে ১৪ দিনের সময় দেওয়া হয়। এই ১৪ দিনের মধ্যে রাধাকৃষ্ণের ঘরের পাশ থেকে তাঁর মুরগিকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। যাতে মুরগির ডাকে রাধাকৃষ্ণের ঘুম না ভেঙে যায়।