কুম্ভমেলা শেষ হতেই মেলা চত্বরে শুরু শ্রমদান, ফের বহু মানুষের ভিড়
কুম্ভমেলা শেষ হয়েছে শিবরাত্রির পুণ্য তিথিতে। ২৬ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছে মেলা। এবার ভাঙা মেলায় অন্য ভিড়। শুরু হল শ্রমদান।

৪৫ দিন ধরে চলা মহাকুম্ভ মেলা শেষ হয়েছে শিবরাত্রির দিন। প্রায় ২ মাস ধরে চলা কোটি কোটি মানুষের পাদচারণা, পুণ্যস্নান শেষ। ভাঙা মেলার চেহারা চারধারে স্পষ্ট। মেলার শেষদিনে শিবরাত্রিতে দিনভর ১ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ স্নান করেছেন। সব মিলিয়ে মহাকুম্ভ মেলায় এবার স্নান করেছেন ৬৫ কোটি মানুষ। যা একটি বিশ্বরেকর্ড।
সেই মেলা শেষের পরদিনই মেলা প্রাঙ্গণে শুরু হল শ্রমদান। আর সেই শ্রমদানে শামিল হলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সঙ্গে ছিলেন তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরাও। তাঁরা এসেছিলেন শ্রমদান করতে।
আরাইল ঘাটে হাতে ঝাঁটা নিয়ে সাফাই অভিযানে নামেন মুখ্যমন্ত্রী। এই শ্রমদান হল স্বেচ্ছাসেবা। মেলার পুরো প্রাঙ্গণ এবার সাফ করার পালা। আর তা করতে অনেকেই এই শ্রমদানে ব্রতী হয়েছেন। ফলে মেলা সাফ করতে অনেকে মানুষের জমায়েত। তাঁরা মেলার বিভিন্ন অংশ সাফ করতে নেমে পড়েছেন।
গঙ্গার চরে হওয়া এই মেলার প্রাঙ্গণ নেহাত ছোট জায়গা নয়। অতি বিশাল এই জায়গা। সেই পুরো জায়গাটা মেলা শেষে পুরো সাফ করে ফেলা নেহাত কম কাজ নয়। সেই সাফাই অভিযান শুরু হল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বচ্ছ ভারত অভিযানে ব্রতী হয়ে এই কাজে শামিল হয়ে মানুষকে উৎসাহ দিলেন যোগী আদিত্যনাথ। এদিন একটি ভাসমান জেটিতে ভাসেন যোগী আদিত্যনাথ। সঙ্গে ছিলেন তাঁর মন্ত্রিসভার অন্য মন্ত্রীরা। সেখানে যোগী আদিত্যনাথ সাইবেরিয়া থেকে আসা পাখিদের শস্য দানাও খাওয়ান। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা