কেদারনাথ দর্শনে আর কোনও সমস্যাই থাকবেনা, তৈরি হচ্ছে বিশেষ যান
কেদারনাথ হোক বা হেমকুণ্ড সাহিব, দুর্গম পথ, কঠিন যাত্রা। পাহাড়ি রাস্তায় পুণ্যার্থীদের অনেকটা হাঁটতে হয়। তবে সে কষ্ট আর থাকছে না। তৈরি হচ্ছে বিশেষ যান।

কেদারনাথ যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও অনেকে ওই দীর্ঘ পাহাড়ি পথ হাঁটা নিয়ে চিন্তায় থাকেন। শুধু দুর্গম বলেই নয়, ওই পথ হেঁটে ওঠা অনেকের দুঃসাধ্য। যাঁরা পারেননা তাঁরা পিঠ্ঠু, ডুলি বা ছোট ঘোড়ায় সওয়ার হন। আর খরচ করতে পারলে হেলিকপ্টার পরিষেবা রয়েছে।
এবার সেসব আর দরকার পড়বে না। কেদারনাথ যাওয়ার জন্য সোনপ্রয়াগ থেকে সহজেই বসে বসে যে কেউ পৌঁছে যেতে পারবেন মন্দিরে। ৮ থেকে ৯ ঘণ্টার হাঁটা পথ অতিক্রম করতে সেক্ষেত্রে লাগবে মাত্র ৩৬ মিনিট।
কারণ সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথ পর্যন্ত তৈরি হচ্ছে রোপওয়ে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ বা সরকারি ও বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে তৈরি হবে এই দড়ি যান।
প্রতি ঘণ্টায় এক পিঠে ১ হাজার ৮০০ জনকে নিয়ে যেতে সক্ষম হবে এই পরিষেবা। ফলে দিনে ১৮ হাজার পুণ্যার্থীকে পৌঁছে দেওয়া এবং ওই সংখ্যক পুণ্যার্থীকে নামিয়ে আনতে পারবে এই রোপওয়ের সুবিধা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ক্যাবিনেট কমিটি অফ ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স এই প্রকল্প তৈরিতে সবুজ সংকেত দিয়েছে। শুধু কেদারনাথই নয়, আর এক ধর্মীয় ক্ষেত্র হেমকুণ্ড সাহিব যাওয়ার জন্যও তৈরি হবে রোপওয়ে। যা এক অতি দুর্গম যাত্রা বলেই মনে করেন সকলে।
কেদারনাথ ও হেমকুণ্ড সাহিবে পৌঁছনোর জন্য রোপওয়ে নির্মাণের জন্য ৬ হাজার ৮১১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। এরমধ্যে কেদারনাথের ১২.৯ কিলোমিটার রোপওয়ে পথের জন্য ৪ হাজার ৮১ কোটি টাকা খরচ হবে।
কেদারনাথে পৌঁছতে এখন পুণ্যার্থীদের গৌরীকুণ্ড থেকে যাত্রা করে দুর্গম পাহাড়ি পথে ১৬ কিলোমিটার উপরে উঠতে হয়। রোপওয়ে শুরু হয়ে গেলে তা অনেকটাই কমে যাবে। সহজ হবে কেদারনাথ দর্শনের মনোবাঞ্ছা পূরণ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা