বিয়ের ২ দিনের মাথায় সন্তান প্রসব করলেন নববধূ, বরের মাথায় হাত
বিয়ের ২ দিন পর ফুলসজ্জা। সেদিনই সন্তান প্রসব করলেন এক নববধূ। সবে বিয়ে করেই এমন এক পরিস্থিতির মুখে পড়ে মাথায় হাত বরের।

বিয়ের দিন ঠিকঠাকই বিয়ে হয়েছিল। তার পরদিন তো বরের বাড়িতে নববধূর আগমন পর্ব। সেটাও সুন্দরভাবেই মেটে। রাতে সেদিন আলাদা ঘরেই শুয়েছিলেন নবদম্পতি। সেটাও প্রথারই অঙ্গ। তার পরদিন ছিল ফুলসজ্জা।
সেদিন বিকেলের দিকে আচমকা নববধূর যন্ত্রণা শুরু হয়। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সেখানে চিকিৎসকেরা জানান যে ওই মহিলা সন্তানসম্ভবা এবং তাঁর প্রসব যন্ত্রণা বাড়ছে। হাসপাতালেই কিছুক্ষণের মধ্যে এক সন্তানের জন্ম দেন ওই নববধূ।
ফুলসজ্জার বিকেলে তাঁর সদ্য বিবাহিত স্ত্রী মা হয়েছেন! এই ধাক্কাটা সামলে উঠতে সময় নেন তাঁর স্বামী। যদিও প্রাথমিক কিমকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থা কাটিয়ে বর সাফ জানিয়ে দেন এই মেয়েকে তিনি আর স্ত্রী হিসাবে ঘরে তুলতে পারবেননা।
কিন্তু নববধূর পরিবার পাল্টা দাবি করে যে বিয়েটা অনেকদিন আগেই স্থির হয়েছিল। তারপর থেকে ২ জনের মেলামেশা চলছিল। যদিও ওই মহিলার স্বামী পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
তিনি সাফ জানিয়ে দেন ওই মেয়েকে তিনি স্ত্রী হিসাবে গ্রহণ করতে পারবেননা। বিয়েতে যে জিনিসপত্র দেওয়া হয়েছিল তাও ফেরত চান তিনি। এও জানান যে যদি ওই নববধূর পরিবার এতে রাজি না হয়, তাহলে তিনি আইনি পথে হাঁটবেন।
ওই মহিলা যে সন্তানসম্ভবা তা তাঁকে দেখে বিয়ের দিন থেকে বোঝা যায়নি। বরের পরিবারের দাবি তিনি এমনভাবে লেহেঙ্গাটা পরেছিলেন যে স্ফীত হয়ে ওঠা উদরভাগ চোখে পড়ছিল না। কনের পরিবার পুরোটাই লুকিয়ে বিয়ে দেয় বলেও অভিযোগ করেছে বরের পরিবার।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ জেলায়। পরে ওই গ্রামের পঞ্চায়েত নববধূকে সন্তান নিয়ে তাঁর পিতৃগৃহে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
তবে ওই সন্তান কার সে সম্বন্ধে ওই নববধূ কিছু জানাননি। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর তা ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয়নি।