সাইকেলে চেপে এভারেস্টে চড়তে গেলেন বাঙালি তরুণ
পর্বতারোহী হিসাবে তিনি পরিচিত মুখ। যথেষ্ট দক্ষ। তিনি এবার এভারেস্টে চড়ার লক্ষ্য স্থির করেছেন। তবে সেখানে পৌঁছতে ১৫০০ কিলোমিটার পথেও অ্যাডভেঞ্চারকে সঙ্গী করলেন যুবক।

তাঁর ঝুলিতে রয়েছে কিলিমাঞ্জারো ও এলব্রুস জয়ের শিরোপা। এবার তিনি পৃথিবীর উচ্চতম শৃঙ্গ এভারেস্ট জয় করতে চান। এপ্রিল মাসেই তিনি এভারেস্টে উঠবেন। সেজন্য নেপালের পথে বেড়িয়ে পড়লেন তিনি।
এতদিন আগে কেন? ত্রিপুরার ছেলে অরিত্র রায় আগরতলা থেকে কিন্তু বেড়িয়ে পড়েছেন নেপালে পৌঁছনোর জন্য। দেড় হাজার কিলোমিটার পথ তিনি অতিক্রম করবেন। আগরতলা থেকে নেপালের ফাপলু-র দূরত্ব সড়কপথে সেটাই।
সেই পথ তো অতিক্রম করতে ২০ দিন লাগে না। কিন্তু তাঁর ২০ দিন লাগবে। কারণ তিনি এভারেস্টে ওঠার জন্য নেপালে পৌঁছনোটাও অ্যাডভেঞ্চারের মধ্যে দিয়ে করছেন। দেওয়ার চেষ্টা করছেন একটি বিশেষ বার্তাও।
অসম রাইফেলস আগরতলা থেকে পতাকা নাড়িয়ে অরিত্রর যাত্রার সূচনা করে। কারণ অরিত্র হেঁটে নয়, বাসে বা ট্রেনেও নয়, এমনকি বিমানেও নয়, নেপাল যাচ্ছেন সাইকেলে চেপে।
এই দেড় হাজার কিলোমিটার পথ তিনি ২০ দিনে অতিক্রম করবেন সাইকেলে। সেই সঙ্গে পরিবেশবন্ধু যান হিসাবে সাইকেলের ব্যবহার বাড়ানো নিয়ে মানুষকে উৎসাহ দেবেন তাঁর এই সাইকেল যাত্রার মধ্যে দিয়ে।
সাইকেলে আগরতলা থেকে নেপাল পৌঁছে তারপর সেখান থেকে অরিত্র এভারেস্ট আরোহণ শুরু করবেন। সাধারণত এভারেস্টে ওঠার আগে এমন অ্যাডভেঞ্চারের পথে কেউ যেতে চান না। শক্তি সঞ্চয় করে রাখেন এভারেস্টের কঠিন পথ অতিক্রম করার জন্য।
অরিত্র ভাবলেন একটু অন্যভাবে। প্রসঙ্গত অরিত্র রায় যদি এভারেস্ট আরোহণে সফল হন তাহলে তিনিই হবেন ত্রিপুরার প্রথম বাসিন্দা যিনি এভারেস্টের চুড়ো ছুঁয়ে রেকর্ড গড়বেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা