বিক্রিতে অনীহা, টমেটো গাছেই ঝুলতে দিচ্ছেন অনেক কৃষক
টমেটো গাছে যখন পাক ধরে তখন তা গাছ থেকে পেড়ে নেন কৃষকরা। কিন্তু অনেক কৃষক এখন গাছেই ঝুলতে দিচ্ছেন টমেটো।

কৃষকরা টমেটো হোক বা অন্যকিছু, চাষ করেন বিক্রির কথা মাথায় রেখে। কারণ সেটাই তাঁদের রুটিরুজি। কিন্তু অনেক টমেটো চাষি তাঁদের বিশাল সব ক্ষেত ভরে থাকা লাল টমেটো গাছেই ঝুলতে দিচ্ছেন। তা গাছ থেকে পাড়ার চেষ্টা করছেননা। অনেকক্ষেত্রেই টমেটো গাছেই অতিরিক্ত পাক ধরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কেন এমন করছেন?
ওই কৃষকদের দাবি, টমেটো চাষ করে যে ফলন হয় তা গাছ থেকে পেড়ে বাক্সে ভরে ফেলা হয়। এটার জন্য আলাদা লোক রয়েছে। সাধারণত একটি কাঠের বাক্সে ১৪ কেজির মত টমেটো ভরে ফেলা যায়।
এই একটি বাক্সের দর পাইকারি বাজারে তাঁরা পাচ্ছেন ২০০ টাকা থেকে খুব বেশি হলে ২৮০ টাকা। এই একটি বাক্স ভরতে যাঁরা কাজ করেন তাঁরা প্রতিটি বাক্সে টমেটো পেড়ে ভরা পিছু ৩ টাকা করে নিয়ে থাকেন।
এই খরচ ও বাজার পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার পরিবহণ খরচ বাদ দিলে বাকিটা কৃষকের লাভ। কিন্তু গতমাসে টমেটোর দাম হুহু করে পড়েছে। প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৭ টাকা কেজি দরে। ফলে তাঁরা প্রায় দামই পাচ্ছেন না। এদিকে টমেটো চাষ করার জন্য যে ধার তাঁরা নিয়েছেন তা দাম পড়ে যাওয়ায় উঠছে না।
তামিলনাড়ু জুড়ে এই চিত্র নজরকাড়া। টমেটোর দামে অস্বাভাবিক পতনের ফলে টমেটো কৃষকরা তাঁদের ফলন গাছেই ফেলে রাখছেন। তা পেড়ে বাক্সে ভরে বাজারে পাঠানোর কোনও চেষ্টাই করছেননা।
কারণ এগুলি করতে যে অর্থ ব্যয় হবে, চাষের খরচের সঙ্গে এই খরচ যোগ করে মোট খরচে ধারের টাকাই শোধ হবেনা, তো নিজের লভ্যাংশ কি রাখবেন! ফলে কৃষকরা টমেটো চাষ করলেও তা গাছেই নষ্ট হতে রেখে দিচ্ছেন। টমেটো চাষ করে যে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে তাঁরা পড়ছেন তা তাঁদের গাছ থেকে টমেটো পাড়ায় অনীহার জন্ম দিয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা