National

যদি চড়ুইপাখি ভালবাসেন, তাহলে এই মানুষটির কাহিনি অবশ্যই জানা উচিত

শহুরে জীবনে যে কয়েকটি পাখি নজর কাড়ে তার একটি চড়ুই। তবে চড়ুইয়ের সংখ্যা কমতে কমতে এখন তাদের দেখা মেলাই ভার হয়েছে।

শৈশবে বইয়ের পাতায় চড়ুইপাখি নিয়ে ছড়া, আঁকার মাস্টারমশাইয়ের চড়ুই আঁকা শেখানো আর ক্লান্ত দুপুর বা সূর্যের মিঠে আলোর ভোরে চড়ুইয়ের কিচিরমিচির। এ তো বহু মানুষকে হঠাৎ করে শৈশবের স্মৃতির সরণীতে নিয়ে গিয়ে ফেলে।

সেই শৈশবের চড়ুই এখন আর নেই। শহুরে ইট, কাঠ, পাথরের জঙ্গলে তো তাদের দেখাই মেলেনা। চড়ুইপাখি ক্রমশ বিরল হয়ে উঠছে। অথচ এই চড়ুইপাখি একসময় গুনে শেষ করা যেত না।


আসলে আধুনিক থেকে অত্যাধুনিক হতে থাকা শহর চড়াইদের কথা মনে রাখে না। তারা রইল, না প্রকৃতি থেকে হারিয়ে গেল তাতে বহু মানুষেরই কিছু যায় আসেনা। ফলে চড়াইদের বাঁচানোর জন্য নেই কোনও তাগিদ, নেই সময়।

একজন মানুষ কিন্তু চড়াইদের জন্য ভাবেন। তাঁর জীবন, রুজি, অন্য ব্যস্ততা বাঁচিয়েই তিনি চড়াইদের জন্য লড়াই করে চলেছেন। নিঃশব্দে চড়াইদের বংশবৃদ্ধি ও তাদের নিশ্চিন্ত বাসস্থান ও খাদ্যের বন্দোবস্ত করছেন তিনি।


তৈরি করেছেন চড়াইদের নিশ্চিন্ত আশ্রয় চড়াই কলোনি। এখানে অনেক চড়াই একসঙ্গে থাকতে পারে। নিশ্চিন্তে থাকা, নিশ্চিন্ত বেড়ে ওঠা। ব্যগ্র ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠন তৈরি করেছেন বারাণসীর বাসিন্দা অতুল পাণ্ডে।

এই সংগঠন তৈরি করার পর সংগঠনের তরফে নানা অনুষ্ঠানে গিয়ে পাখিদের জন্য কাঠের ছোট ছোট ঘর এবং মাটির পাত্র উপহার দেওয়া হয়। মানুষের মধ্যে চড়াইদের রক্ষার প্রয়োজন ও সচেতনতা বৃদ্ধ এই উপহারের লক্ষ্য। এগুলি তাঁরা ব্যবহার করলে, চড়াইরা নিশ্চিন্ত আশ্রয় পাবে তাঁদের কাছে।

ছোটবেলাটা অতুলের কেটেছে দেওরিয়ার একটি গ্রামে। সেখানে ভোর হলেই চারিদিক মেতে উঠত চড়াইদের কিচিরমিচিরে। শহরে সে ডাক তিনি আর শুনতে পান না। দেখতে পান না চড়াইদের। চড়াইদের বাঁচাতে তাই তিনি উদ্যোগী হন। তৈরি করেন ব্যগ্র ফাউন্ডেশন। যারা এখন ভারত জুড়েই চড়াই রক্ষায় কাজ করে চলেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button