জন্মের পরই বেপাত্তা ব্যাঘ্র শাবক, কি হয়ে থাকতে পারে তার ইঙ্গিত দিচ্ছে জঙ্গলের আইন
৪ সন্তানের জন্ম দিয়েছিল বাঘিনী। ৩ শাবক তার সঙ্গে ঘুরছে। ১টি জন্মের পর থেকে বেপাত্তা। কি হল সেটির তার উত্তর লুকিয়ে থাকতে পারে জঙ্গলের নিজস্ব আইনে।

ভারতের এক অন্যতম ব্যাঘ্র অভয়ারণ্য পান্না টাইগার রিজার্ভ। যেখানে বাঘেরা নিশ্চিন্তে বসবাস করে। বংশবৃদ্ধি করে। তাদের ভালমন্দ দেখভালের দায়িত্ব বর্তায় অভয়ারণ্যের আধিকারিকদের ওপর।
এই পান্না টাইগার রিজার্ভেই কয়েকদিন আগে ৪টি শাবকের জন্ম দেয় এক বাঘিনী। শাবকগুলি যেহেতু সদ্যোজাত, তাই তাদের ওপর নজর রাখছিলেন আধিকারিকরাও।
দেখা যায় ৩টি শাবক তার মায়ের সঙ্গেই রয়েছে। কিন্তু ১টি শাবকের দেখা নেই। বন আধিকারিকরা শাবকটির খোঁজ শুরু করেন। এমনকি যদি তার জন্মের পর প্রাণ গিয়েও থাকে তাহলেও তো তা জানা যাবে!
কিন্তু প্রায় ১৫ দিন পার করেও তার দেখা মেলেনি। কী হয়ে থাকতে পারে শাবকটির সঙ্গে? সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে ফোনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পান্না টাইগার রিজার্ভ-এর ফিল্ড ডিরেক্টর অঞ্জনা শুচিতা তিরকে ব্যাঘ্র শাবকটির সঙ্গে কি হয়ে থাকতে পারে তার একটা আন্দাজ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। যেখানে জঙ্গলের নিজস্ব আইন উঠে এসেছে।
তিরকের মতে, বাঘিনীরা সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর যদি দেখে যে তারমধ্যে কোনও সন্তান খুবই দুর্বল তাহলে তাকে নির্দ্বিধায় একা জঙ্গলের মধ্যেই ফেলে রেখে চলে যায়। মায়ের মত আচরণ মনে না হলেও এমনটা বাঘিনীরা করে থাকে।
এমনকি খুব দুর্বল শাবক হয়েছে দেখলে তাকে শেষও করে দেয় তারা। এটা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক একটা বিষয় বলেই মনে করেন তিরকে। এটাই প্রকৃতির আইন। যোগ্যতমই টিকবে। এটাই স্থির করে এই জঙ্গলের আইন।
বাঘিনী তাই তার সদ্যোজাত সন্তানকে জঙ্গলের আইন মেনেই হয় জঙ্গলে একা ফেলে চলে যায় অথবা তাকে শেষ করে দেয়। এর কোনওটি এই বেপাত্তা সদ্যোজাত ব্যাঘ্র শাবকের সঙ্গে হয়েছে কিনা তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ তার দেহটিও পাওয়া যায়নি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা