বিমানে বসে বিড়িতে সুখটান, তারপর যা হল
বিমান ও তার যাত্রীদের যাবতীয় সুরক্ষা নিশ্চিত করতে যাবতীয় পদক্ষেপ করা হয়। তারপরেও এক ব্যক্তি বিমানে উঠে বিড়িতে সুখটান দিলেন। গন্ধ গেল বিমানসেবিকার নাকে।

যে কোনও যানেই বিড়ি বা সিগারেট পান করা নিষিদ্ধ। বিমানে তো ধূমপানের প্রশ্নই ওঠেনা। কারণ ধূমপানের জন্য বিড়ি বা সিগারেট এবং তা ধরানোর জন্য দেশলাই বা লাইটার নিয়ে যাত্রীকে উঠতেই দেওয়া হয়না।
তারপরেও এক যাত্রী সুরক্ষা বলয়ের চোখে ধুলো দিয়ে বিড়ির বান্ডিল নিয়ে উঠে পড়েছিলেন বিমানে। বিমানে সব যাত্রী উঠে যাওয়ার পর বিমানটি আরও একবার ভাল করে পরীক্ষা করে নেওয়ার কাজ হয়। যাতে বিমানটি আকাশে কোনও সমস্যায় না পড়ে।
ইন্ডিগো সংস্থার সেই বিমান সুরাট থেকে কলকাতা আসছিল। সুরাট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তখনও সেটি দাঁড়িয়েছিল ওড়ার অপেক্ষায়। এমন সময় বিমানের টয়লেট থেকে বিড়ির গন্ধ পান বিমানসেবিকা। সময় নষ্ট না করে তিনি দ্রুত বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানান।
বিমানটির উড়ান থামানো হয়। সুরক্ষাকর্মীরা দ্রুত বিমানে ওঠেন। তারপর ওই ব্যক্তিকে পাকড়াও করেন। টয়লেট থেকে পোড়া বিড়ির অংশ ও একটি দেশলাই বাক্স উদ্ধার হয়। ওই ব্যক্তির ব্যাগ থেকে একটি বিড়ির বান্ডিলও পাওয়া যায়।
বিমানের প্রতিটি যাত্রীর সুরক্ষাকে প্রশ্নচিহ্নের মুখে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তি বাংলার বাসিন্দা।
ইন্ডিগো বিমান সংস্থার তরফে অশোক বিশ্বাস নামে বছর ৩৭-এর ওই ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিমানে বিড়ি পানের ঘটনায় স্তম্ভিত যাত্রীরাও।