স্বাধীনতার পর শুধুই প্রতিশ্রুতি, নদীর ওপর নিজেরাই যা করার করলেন স্থানীয়রা
সেই স্বাধীনতার পর থেকে তাঁরা আবেদন করে চলেছেন জনপ্রতিনিধিদের কাছে। কিন্তু এত বছরেও কিছু হয়নি। তাই নদী পারাপারে এবার গ্রামবাসীরা নিজেরাই অভিনব উপায় বার করলেন।

একটি নদীই সব সুবিধার অন্তরায়। নদী পার করতে পারলে তবে কলেজ। স্কুলও অধিকাংশই নদীর ওপারে। বর্ষায় নদী ফেঁপে উঠলে নৌকাই ভরসা। সদরের সঙ্গে যোগাযোগও ওই নদী পার করার ওপর নির্ভরশীল।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে তাই সেখানে যিনিই জনপ্রতিনিধি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁর কাছেই গ্রামবাসীরা দরবার করেছেন ওই নদীর ওপর একটি ব্রিজ তৈরি করে দেওয়ার জন্য। গ্রামবাসীদের দাবি, যিনিই সেখানে জনপ্রতিনিধি হয়ে আসেন তাঁর কাছে ব্রিজের আবেদন নিয়ে গেলে নিরাশ করেননা তিনি। প্রতিশ্রুতি দেন ব্রিজ তৈরির।
কিন্তু প্রতিশ্রুতিই সার। তারপর আর কিছুই হয়না। এতদিনে অনেক জনপ্রতিনিধি বদল হয়েছে। কিন্তু নদীর ওপর ব্রিজ আর তৈরি হয়নি। এত বছর ধরে কেবল সহ্য আর অপেক্ষা করে গেছেন গ্রামবাসীরা।
কিন্তু এবার তাঁদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি পেতে পেতে তাঁরা ক্লান্ত। তাই আর কারও অপেক্ষা না করে নিজেরাই চাঁদা তুলে শুরু করেছেন ব্রিজ তৈরির কাজ।
১০৮ ফুটের এই ব্রিজ তৈরির কাজ দ্রুত এগোচ্ছে ঠিকই, তবে তা কবে শেষ হবে তা নির্ভর করছে কতটা টাকা ওঠে তার ওপর। অন্যদিকে প্রশাসনিক ছাড়পত্র না থাকায় ব্রিজ যদি তৈরি হয়ও তাহলেও ওই ব্রিজে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে কি হবে তা পরিস্কার নয়।
তবে গ্রামবাসীরা নাছোড় অবস্থান নিয়েছেন। তাঁরা মগই নদীর ব্রিজ তৈরি করেই ছাড়বেন। তাতে তাঁদের কেউ পাশে থাকুক বা না থাকুক। টাকা তুলে ব্রিজ তৈরি করবেন তাঁরাই।
উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর জেলার এই চাঁদা তুলে ব্রিজ তৈরির কাজ এখন একটা খবরে পরিণত হয়েছে। এক নতুন প্রতিবাদের ভাষা তৈরি করলেন গ্রামবাসীরা।