বিলুপ্ত হওয়া উড়ন্ত প্রাণির দেখা মিলল হিমালয়ে, লুকোনো ক্যামেরায় ছবিও উঠল
এ প্রাণি আর এই পৃথিবীতে নেই। হারিয়ে গিয়েছে। এমনই মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু তারই আচমকা দেখা মিলল লুকোনো ক্যামেরায়।

পৃথিবী থেকে অনেক প্রাণিই হারিয়ে গিয়েছে। তাদের আর কোনও অস্তিত্ব নেই। একটা দীর্ঘ সময় ধরে কোনও প্রাণি নিরুদ্দেশ থাকলে একটা সময় তাকে বিলুপ্ত বলে ধরে নেওয়া হয়। হিমালয়ে এমনই এক বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রাণির দেখা পাওয়া গেল।
১৯৯৪ সালে তাকে শেষবার দেখা গিয়েছিল। সেটাও ছিল একটা চমক। কারণ তার ৭০ বছর আগে সেটিকে দেখা গিয়েছিল শেষবার। তারপর ১৯৯৪ সালে তার দেখা মেলে। তারপর ফের সেটি হারিয়ে যায়।
সেই ১৯৯৪ সালের পর ফের ২০২৫ সালে এসে তার খোঁজ মিলল। তাও হিমালয়ের এমন পাহাড়ি ঢালে যেখানে মানুষের আনাগোনা নেই। সেখানেই গোপন ক্যামেরা বসানো হয়েছিল বন দফতরের পক্ষ থেকে।
বিভিন্ন গহন, দুর্গম স্থান বেছে ৬২টি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। যা সারাক্ষণ সেখানকার গতিবিধির ওপর নজর রাখছিল। গতবছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ক্যামেরা রাখা হয়েছিল।
সেই ক্যামেরার ফুটেজে নজর দিতেই হতবাক হয়ে যান বন্যপ্রাণি বিশেষজ্ঞেরা। এক উড়ুক্কু কাঠবিড়ালির দেখা পান তাঁরা। এই উড়ুক্কু কাঠবিড়ালি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে বলেই ধরে নেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু তা যে রয়েছে তা হিমাচল প্রদেশের লাহুল স্পিতির মিয়ার উপত্যকায় দেখতে পাওয়া গেল। দুর্গম পাহাড়ের ঢালে তার ছবি দেখতে পাওয়া গিয়েছে।
এই প্রথম কোনও উড়ুক্কু কাঠবিড়ালির ছবি ক্যামেরাবন্দি হল। প্রমাণ হল তারা বিলুপ্ত হয়নি। আছে হিমালয়েই। তবে লোকচক্ষুর আড়ালে।

গোপন ক্যামেরায় উড়ুক্কু কাঠবিড়ালির দেখা পাওয়া সবচেয়ে বেশি অবাক করেছে বিশেষজ্ঞদের। তবে তার সঙ্গেই এই ক্যামেরাগুলিতে ধরা পড়েছে স্নো লেপার্ড, লাল শেয়াল, হিমালয়ান উলফ।
যেগুলির দেখা পাওয়াও ভাগ্যের ব্যাপার বলেই মনে করা হয়। লোকচক্ষুর অন্তরালে হিমালয়ের এমনই সব দুর্গম জায়গায় তারা থাকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা