মাছ পেতে সমস্যা হতে পারে, বন্ধ হল ৬১ দিন মাছ ধরা
আমিষভোজীদের পাতে, বিশেষ করে বাঙালির পাতে মাছ এক অন্যতম ভরসা। সেই মাছ পেতে সমস্যা বা দাম বৃদ্ধির ধাক্কার মুখে পড়তে হতে পারে সাধারণ মানুষকে।

কথায় বলে মাছে ভাতে বাঙালি। বাংলা তো বটেই, এমনকি অন্য অনেক রাজ্যের মানুষও মাছ খান। সেই মাছের দামের ছেঁকা কিছুটা হলেও সহ্য করতে হতে পারে। কারণ বঙ্গোপসাগরে ৬১ দিন মাছ ধরা বন্ধ রাখছে তামিলনাড়ু।
ভারতের পূর্ব উপকূল জুড়ে অন্যতম এক পেশা মাছ ধরা। সেই মাছ ধরাই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ১৫ এপ্রিল থেকে। বঙ্গোপসাগরে ট্রলার বা যন্ত্রচালিত কোনও যান নিয়ে মাছ ধরতে যেতে পারবেননা কোনও মৎস্যজীবী।
এপ্রিল থেকে জুন মাস হল মাছের প্রজনন অনুকূল সময়। তাই এই সময় তারা যাতে নিশ্চিন্তে তাদের জীবন কাটাতে পারে এবং মাছেরও আগামী দিনে সমস্যা না হয় সেজন্য এই সময় মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
প্রতিবছরই এই সময় মাছ ধরা বন্ধ রাখা হয় বঙ্গোপসাগরে। ৬১ দিন বন্ধ থাকবে এই মাছ ধরা। ১৪ জুন পর্যন্ত বন্ধ। ফের ১৫ জুন থেকে মাছ ধরতে গভীর সমুদ্রে যেতে পারবেন মৎস্যজীবীরা। তামিলনাড়ুতে আবার পক প্রণালী হল মাছদের সবচেয়ে বেশি পছন্দের প্রজনন স্থান।
ট্রলার বা যন্ত্রচালিত নৌকা নিয়ে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে এই ৬১ দিন। তবে যাঁরা সাধারণ দাঁড় টানা নৌকা নিয়ে সমুদ্রে মাছ ধরেন তাঁদের জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়। তাঁরা যখন ইচ্ছে মাছ ধরতে পারবেন। তাঁদের প্রশাসনিক কোনও বাধার মুখে পড়তে হবেনা।
এদিকে মাছ ধরা বন্ধ হলে যে মাছের দাম বৃদ্ধি ও যোগানে টান ক্রমশ স্পষ্ট হবে সে বিষয়ে সতর্ক করেছেন তামিলনাড়ুর মৎস্যচাষের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন। প্রসঙ্গত পশ্চিমবঙ্গ সহ বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী সব রাজ্যেই মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয় প্রতিবছর। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা