জঙ্গলে হাতির পাল দেখে দৌড় দিলেন ২ জন, তারপরটা এখনও রহস্য
ছবির চেয়েও সুন্দর বললে অত্যুক্তি হবেনা। এমন এক জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল একটি হাতির পাল। যাদের দেখেই রুদ্ধশ্বাসে ছুটতে শুরু করেন ২ জন। বাকিটা রহস্যে মোড়া।

এটা কোনও মনগড়া কাহিনি নয়। নেহাতই বাস্তব। ছবির মত সুন্দর চারধার। সবুজ যেন এখানে তার সবটুকু বিলিয়ে দিয়েছে। এমন এক অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে হাতির পাল যেতেই পারে। এমন কত পশুপাখিই তো জঙ্গলে নিশ্চিন্তে জীবনযাপন করে।
এদিকে ওই জঙ্গলেই বসবাসকারী এক আদিবাসী গোষ্ঠীর জন্য সরকারি অনুমতি রয়েছে যে তারা চাইলে জঙ্গলের গভীরে যেতে পারে। তারা ওই জঙ্গলেরই বাসিন্দা হওয়ায় তাদের ওই জঙ্গল চেনাও।
জঙ্গলের গভীরে ঢুকে তারা জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক সম্পদ সংগ্রহ করে। সেটা কাঠের টুকরো থেকে ফলমূল সবই। তাদেরই এক সদস্যের হাতির হানায় প্রাণ যাওয়ার পর গভীর জঙ্গলে তাঁর শেষকৃত্য করতে ঢুকেছিলেন আদিবাসী গোষ্ঠীর কয়েকজন নারী পুরুষ।
সেই সময় সেখানে দিয়ে একটি হাতির পাল যাচ্ছিল। হাতির পাল যে তাদের দিকে তেড়ে আসে এমনটা নয়, বরং হাতির পালকে দেখে গভীর জঙ্গলে আচমকাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই আদিবাসীরা। তাঁরা এদিক ওদিক পালান। তাঁদের মধ্যেই এক স্বামীস্ত্রী অম্বিকা ও সতীশ প্রাণপণে ছুটতে শুরু করেন জঙ্গলের মধ্যে।
পরে তাঁদের খোঁজ করতে গিয়ে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া একটি নদীতে অম্বিকা ও জঙ্গলের মধ্যে এক জায়গায় সতীশের দেহ পাওয়া যায়। কিন্তু দেহ উদ্ধার হলেও এটা পরিস্কার নয় যে তাঁদের এই প্রাণ যাওয়ার কারণ কি!
হাতির হানা নাকি জঙ্গলের মধ্যে অন্য কোনও কারণে তাঁদের ২ জনের প্রাণ গেছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই বোঝা যাবে। তার আগে পুরোটাই রহস্য। ঘটনাটি ঘটেছে কেরালার আথিরাপিল্লী জঙ্গলে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা