National

ভ্রান্তিবিলাস কাণ্ড, এক মুন্নিকে ধরতে এসে অন্য মুন্নিকে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ

শেক্সপিয়ার লিখেছিলেন নামে কি আসে যায়। কিন্তু সেই নামের সাদৃশ্যের জেরেই এক নিরপরাধ মুন্নিকে কাটাতে হল গারদের পিছনে। যাকে ধরার কথা সে দিব্যি কাটাল বাইরে।

কুখ্যাত অপরাধী ছোটের স্ত্রী মুন্নি নিজেও কম যায়না। তার বিরুদ্ধেও একাধিক অপরাধমূলক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ২০২০ সালে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগে মুন্নির বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে উত্তরপ্রদেশের বরেলির স্থানীয় আদালত।

আদালতের নির্দেশ পেয়ে পুলিশ হন্যে হয়ে মুন্নির খোঁজ শুরু করে। মুন্নি যে গ্রামের বাসিন্দা সেই বরেলির বান্দিয়া গ্রামে হাজির হয় পুলিশ। সেখানে এসে তারা মুন্নির খোঁজ করে। খোঁজও পায়। মুন্নিকে বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয়।


কিন্তু কেন তাঁদের পরিবারের সাতেপাঁচে না থাকা মানুষটিকে গ্রেফতার করা হচ্ছে তা মাথায় ঢোকে না মুন্নির পরিবারের অন্যদের। পুলিশ মুন্নিকে গ্রেফতার করতে পেরেছে ভেবে শান্তি পায়। তাঁকে গারদের পিছনে রাখা হয়। তারপর ৪ দিন কেটে যায়।

৪ দিন পর পুলিশ বুঝতে পারে তারা মুন্নিকে গ্রেফতার করেছে ঠিকই, তবে যে মুন্নিকে গ্রেফতার করতে তারা চাইছিল সে অধরাই। তারা যে মুন্নিকে তুলে এনেছে তাঁর নাম মুন্নি ঠিকই, তবে পুলিশ যে মুন্নিকে গ্রেফতার করতে চাইছে সে নয়।


নামের সাদৃশ্য দেখে তাদের এই ভুল পুলিশ বুঝতে পেরেই মুন্নিদেবীকে জেল থেকে ছেড়ে দেয়। সেই সঙ্গে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে সাফ জানিয়ে দেয় পুলিশের ভুলের কথা যেন তাঁরা কোনওভাবেই পাঁচকান না করেন।

যদিও পুলিশ তাদের ভুল চাপার চেষ্টা করলেও তাতে সফল হয়নি। ঘটনার কথা প্রকাশ হয়েই যায়। পুলিশের ভুলে এক নিরপরাধ গৃহিণীকে গারদের পিছনে কাটাতে হল। মুন্নিকে অকারণেই বদনাম হতে হয়।

বাকি তথ্য খতিয়ে না দেখে কেবল নাম এক হওয়াতেই মুন্নিদেবীকে এভাবে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশকে সমালোচনার ঝড় সামলাতে হচ্ছে এখন।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button