বিহারের নওবতপুর গ্রাম। এখানেই ফের ফিরল নির্ভয়া কাণ্ডের বিভীষিকা। অভিযোগ ৩৫ বছরের এক মহিলাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে ২২ বছরের তরুণ ধীরজ কুমার ও তার এক সঙ্গী। মহিলা প্রাণপণে বাধা দেওয়া চেষ্টা করেন। এভাবে মহিলার তরফ থেকে ধর্ষণে বাধা পেয়ে ধীরজের মাথা গরম হয়ে যায়। ওই মহিলাকে মারধর শুরু করে সে ও তার সঙ্গী। চরম অত্যাচারের পর ওই মহিলার যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে দেয় তারা। রক্তক্ষরণ হতে থাকে ওই মহিলার। যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন তিনি। যা কার্যতই মনে করিয়ে দিয়েছে দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের সেই পাশবিক অত্যাচারের কথা।
এদিকে ওই মহিলার ওই অবস্থা করার পর সেখান থেকে পালায় ২ জনে। এদিকে রক্তাপ্লুত অবস্থায় কোনওক্রমে শরীরটাকে ঘষটে ঘষটে ওই মহিলা বাড়ি পৌঁছন। তাঁর ওই অবস্থা দেখে বাড়ির লোকজন দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। স্থানীয় হাসপাতাল মহিলার পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাঁকে পাটনা মেডিক্যালে পাঠায়। সেখানেই অস্ত্রোপচার চলাকালীন মৃত্যু হয় ওই মহিলার। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন অতর্কিত রক্তক্ষরণই মহিলার মৃত্যুর কারণ। ৪ সন্তানের জননী ওই মহিলার স্বামী পেশায় দিনমজুর। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে মূল অভিযুক্ত ধীরজ কুমারকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, জেরায় ধীরজ সব অপরাধ কবুল করেছে।