বুধবার ভোররাত। ঘড়ির কাঁটায় তখন প্রায় ৪টে। সেসময়ে নিজেদের গাড়িতে গুরুদ্বার থেকে ফিরছিলেন মেহেরা দম্পতি। চালকের আসনে ছিলেন পঙ্কজ মেহেরা। পাশে তাঁর স্ত্রী প্রিয়া মেহেরা। সঙ্গে ছিল তাঁদের শিশুপুত্রও।
ভোররাত, ফলে দিল্লিতে তখনও যানবাহনের ভিড় তেমন নেই। পুলিশ সূত্রের খবর, উত্তর দিল্লির রোহিনী এলাকার রোহিনী জেলের কাছে গাড়ি আসতেই পথ আটকায় আরও একটি গাড়ি। গাড়ি থামাতে বাধ্য হন পঙ্কজ। সেইসময় অন্য গাড়ি থেকে নেমে আসে কয়েকজন। দলে ৩ বা ৪ জন ছিল বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন পঙ্কজ মেহেরা। অভিযোগ, গাড়ি থেকে নেমেই তারা পঙ্কজকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে যায়। শুরু হয় পঙ্কজের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। এই সময়ে আচমকাই ২টি গুলি চলে। আততায়ীদের ছোঁড়া সেই গুলি গিয়ে লাগে প্রিয়া মেহেরার মাথায় ও ঘাড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। গুলি চলার পর সেখান থেকে চম্পট দেয় আততায়ীরা।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আততায়ীদের টার্গেট ছিলেন পঙ্কজ মেহেরা। কিন্তু হাত ফস্কে গুলি লাগে বছর ৩৪-এর প্রিয়ার গায়ে। পঙ্কজ মেহেরা ও তাঁদের শিশুপুত্র অক্ষত আছেন। পুলিশের কাছে পঙ্কজ মেহেরা দাবি করেছেন, তাঁর কাছ থেকে এক পাওনাদার লক্ষাধিক টাকা পেত। সে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে সন্দেহ করছেন তিনি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
গুরুগ্রাম থেকে ফেরার সময় রাস্তায় গাড়ির সামনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে হর্ষিতা দাহিয়া নামে এক তরুণী গায়িকাকে গুলি করে হত্যার ঘটনা কয়েকদিন আগেই শোরগোল ফেলেছিল। এদিন প্রিয়া মেহেরার মৃত্যু ফের দিল্লির রাস্তাঘাটের বাস্তব পরিস্থিতি ও সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল।