উত্তর দিল্লির রোহিনী জেলের সামনে ভোররাতে গুরুদ্বার থেকে স্ত্রী ও শিশুপুত্রকে নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় গাড়িতে দুষ্কৃতি হামলা হয়। গাড়ির সামনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে ৩ থেকে ৪ জন দুষ্কৃতী বেড়িয়ে আসে। চালকের আসনে বসা পঙ্কজ মেহেরাকে গুলি করার চেষ্টা করে। এরপর পঙ্কজের সাথে দুষ্কৃতীদের ধস্তাধস্তি হয়। তখন দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া গুলি পাশে বসা স্ত্রী প্রিয়া মেহেরার গায়ে লাগে। মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনা ঘটার পর এই সব তথ্যগুলিই সবাইকে জানিয়েছিল প্রিয়া মেহেরার স্বামী পঙ্কজ মেহেরা।
সূত্রের খবর, রাতভর জেরায় পুলিশের কাছে নিজের দোষ স্বীকার করেছে পঙ্কজ। খুনের কারণও জানিয়েছে সে। ডিভোর্স দেওয়া প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে আবার থাকতে চাইছিল পঙ্কজ। কিন্তু বেঁকে বসেন প্রিয়া। তিনি কোনও মতেই পঙ্কজকে অন্য কারও সাথে ভাগ করে নিতে রাজি ছিলেন না। সেজন্যই প্রিয়াকে নিজের পথ থেকে সরাতে গল্প ফাঁদে পঙ্কজ। নিজের হাতে তাঁকে খুন করে সে।