National

বিমান হাইজ্যাকের চিঠি, আতঙ্ক

রবিবার রাত ২টো ৫৫ মিনিটে মুম্বই থেকে দিল্লিগামী জেট এয়ারওয়েজের একটি বিমান আকাশে ওড়ার পর বিমানের টয়লেটে একটি চিঠি পাওয়া যায়। যা পড়ার পর কার্যত ঘুম ছুটে যায় বিমানকর্মীদের। বিমানের এক ক্রু উদ্ধার করেন চিঠিটি। লেখা ছিল, বিমানটি অপহরণ করা হয়েছে ও বিমানবন্দরের কার্গো এলাকায় বিস্ফোরক রাখা আছে। বিমানের যাত্রী আসনে তাদের ১২ জন সদস্য রয়েছে। যদি বিমানটিকে দিল্লিতে অবতরণ করানো হয় তবে বিস্ফোরণ ঘটবে। এটি কোনও তামাশা নয় বলে জানিয়ে বিমানটিকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অবতরণ করানোর কথাও লেখা ছিল চিঠিতে।

বিমানটিতে সেই সময় ১১৫ জন যাত্রী ও ৭ জন ক্রু ছিলেন। আতঙ্ক ছড়িয়ে পরার আগেই পাইলট আহমেদাবাদ এটিসির সঙ্গে যোগাযোগ করে জরুরি অবতরণের অনুমতি চান। সেই অনুমতি মেলার পরেই বিমানটি ভোর পৌনে ৪টে নাগাদ আমেদাবাদ বিমানবন্দরে অবতরণ করে। যাত্রীদের উদ্বেগ না বাড়িয়ে পাইলট জানান, নিরাপত্তার কারণেই বিমানটিকে অবতরণ করানো হয়েছে। তবে চিঠির প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যান তিনি। যাত্রীদের নামিয়ে বিমানে তল্লাশি চালানো হয়। সাল্লা বিরজু নামে এক যাত্রী পরে স্বীকার করেন তিনি নিজেই এই হুমকির চিঠিটি বিমানের টয়লেটে রেখে দেন। জেট এয়ারওয়েজকে সমস্যায় ফেলাই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। এরপরই বিরজুকে গ্রেফতার করা হয়। ঝুঁকি না নিয়ে তারপরও বিমানে তল্লাশি চালানো হয়। তবে কোনও সন্দেহজনক কিছু উদ্ধার হয়নি।


অসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী অশোক গজপতি রাজু অবিলম্বে অভিযুক্ত ব্যক্তির উপর ফৌজদারি মামলা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম ‘নো ফ্লাই লিস্ট’-এ যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। এর ফলে আগামী দিনে ওই ব্যক্তি আর কখনই বিমানে উঠতে পারবেন না। এই প্রথম সরকারি তরফে কোনও যাত্রীকে নো ফ্লাই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হল।


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button