দুটো শরীর, মাথা এক। দুজনকে আলাদা করার কাজটা মোটেই সহজ ছিলনা। কিন্তু সেই অসাধ্য কাজ করে দেখালেন দিল্লি এইমসের ডাক্তাররা। প্রায় ২২ ঘণ্টার অপারেশনে ৩০ জন ডাক্তারের অক্লান্ত চেষ্টায় আলাদা হল জগা ও বালিয়া। এ বছর ২৮ অগাস্ট অপারেশন করে আলাদা করা হয়েছিল শিশু দুটির মস্তিষ্ক থেকে হার্টে রক্ত বয়ে আনা ধমনী। গত ২৭ অক্টোবরের অপারেশনের পর সোমবার চোখ খুলল জগা। কিন্তু, কিডনির সমস্যার কারণে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। বালিয়ার এখনো জ্ঞান ফেরেনি। দুজনকেই ২৪ ঘণ্টার জন্য নজরে রাখা হচ্ছে।
পূর্ব ওড়িশার ছোট্ট গ্রামে জগা ও বালিয়া মহাপাত্রের জন্ম। জন্ম থেকেই তাদের মাথা জোড়া ছিল। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে ক্রেনিওপাগাস। ৩০ লক্ষে এমন ঘটনা ১টা হয়ে থাকে। এই যমজ শিশু দুটিকে আলাদা করার কাজটিও ছিল খুবই ঝুঁকির। কারণ, এদের রক্তের ধমনি এবং মস্তিষ্কের কোষ ছিল অভিন্ন। এই ধরনের শিশুদের বাঁচার সম্ভাবনা খুব কম বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। অনেক সময় অপারেশন টেবিলে বা তারপরেই মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটে থাকে। অপারেশনের সাফল্যের পর এখন চিকিৎসকদের লক্ষ্য হল শিশু ২টির আলাদা আলাদাভাবে খুলির গঠন তৈরি করা।