পরীক্ষায় টুকলি করতে গিয়ে গ্রেফতার হতে হল খোদ আইনের রক্ষককে। সোমবার চেন্নাইয়ের একটি স্কুলে পরীক্ষার হলে ফিল্মি কায়দায় নকল করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পরে চেন্নাইয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট এসপি সইফুর করিম। তার কাছ থেকে পাওয়া গেছে মোবাইল ফোন, ওয়্যারলেস ইয়ারপিস, জামার বোতামে লাগানো ব্লুটুথ সম্বলিত ছোট্ট ক্যামেরা।
অভিযোগ, আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ফোনের ওপারে হায়দরাবাদ থেকে সইফুরকে উত্তর লিখতে সাহায্য করছিল তার স্ত্রী জয়সি জয়। সে নিজেও একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট এসপি। ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র সইফুর চেন্নাইয়ের তিরুনেলভেলি এলাকার থানায় ২০০৫ ব্যাচের আইপিএস অফিসার হিসাবে যোগদান করে। কিন্তু উচ্চাকাঙ্ক্ষী সইফুর চেয়েছিলে আইএএস অফিসার হতে। কিন্তু, এই মুহুর্তে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনে বসার মতো আত্মবিশ্বাস ও প্রস্তুতি কোনটাই হয়তো তার ছিলনা। তাই টুকলির আশ্রয় নেয় সে।
তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে ও তার স্ত্রীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তদন্তে দেখা গেছে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় সইফুর ঐ পরীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলে বসেছিল। যা একেবারেই অনৈতিক। জেরায় সইফুর এও স্বীকার করেছে যে ১৯৯৪ সালের মালয়ালম ছবি ‘কমিশনার’ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ করেছেন তারা। ২০০৩ সালের সুপার হিট হিন্দি ছবি ‘মুন্না ভাই এমবিবিএস’-এ মুন্না মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষায় ব্লুটুথ দিয়ে টুকলি করে প্রথম হয়েছিল। কিন্তু বাস্তব জীবন যে অত রোমাঞ্চকর নয়, তা আরও একবার প্রমাণ করল সইফুরের ঘটনা।