২০১৫-র মারণ বন্যার স্মৃতি কি আবারও উস্কে দিতে চলেছে চেন্নাই? সেবছর অধিক বৃষ্টির ফলে ভেসে গিয়েছিল তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ সহ দক্ষিণ ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা। ৫০০-র বেশি মানুষ মারা যান সেই বন্যায়। চেন্নাই সহ তার আশপাশের অঞ্চলে সোমবার থেকে যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে তাতে তেমনই আশঙ্কা করছেন অনেকে। আগামী ২ দিন চেন্নাইতে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। তামিলনাড়ুর উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও সতর্ক করেছে তারা।
এদিকে সোমবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টির জেরে ইতিমধ্যেই বানভাসি চেন্নাই। অধিকাংশ রাস্তা জলের তলায় চলে গেছে। কয়েকটি রাস্তা দিয়ে যান চলাচলের চেষ্টা হলেও সেখানে প্রবল যানজট। চেন্নাইয়ের কয়েকটি স্কুল ও কলেজে নির্ধারিত সময়ের আগেই এদিন ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। শহরে আরও ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কায় স্কুল, কলেজে ছুটিও ঘোষণা করা হয়েছে। বিশেষত কাঞ্চিপুরম, তিরুভাল্লুর ও পুদুচেরিতে স্কুল ও কলেজগুলি আজ থেকেই বন্ধ রয়েছে।
ইতিমধ্যে চেন্নাইয়ের জনজীবন বিপন্ন। প্রায় সমস্ত রাস্তাই এখন জলের তলায়। অনেক এলাকায় লোডশেডিং। যাতায়াত ব্যবস্থাও মুখ থুবড়ে পড়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলে আঘাত হানা উত্তরপূর্বাঞ্চলের মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এই ভারী বৃষ্টিপাত।
প্রবল বৃষ্টির জেরে জমা জল অপসারণের জন্য ৪০০টি পাম্প ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে চেন্নাই পুরসভা। জল অপসারণের জন্য সবরকম ব্যবস্থাই নিচ্ছে তারা। কিন্তু বৃষ্টি যেভাবে নাগাড়ে হয়ে চলেছে তাতে জল সরিয়ে স্বাভাবিক অবস্থা ফেরানো এখনই সম্ভব হবে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞেরা। বরং আরও বৃষ্টি চেন্নাই সহ আশপাশের এলাকার পরিস্থিতি আরও কতটা জটিল করে তুলবে, তা ভেবেই কূলকিনারা পাচ্ছেননা তাঁরা।