শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা। খিচুড়ি খাওয়ার কোনও ঋতু হয়না। সময় হয়না। তবে হ্যাঁ, বর্ষাকালে রিমঝিম বৃষ্টিতে গরম খিচুড়ির তুলনা মেলা ভার। একলা জীবনের বন্ধু, আবার ভরা বর্ষার বন্ধু, কখনো বা পুজোয় উৎসর্গিত ভোগ। চটজলদি খাবারের তালিকায় প্রথম সারিতেই রয়েছে গরম গরম খিচুড়ি। ডালে চালে খিচুড়ি এতটাই জনপ্রিয় যে এর জায়গা এখন আর শুধুমাত্র রান্নাঘরে নয়। খিচুড়ি নতুন রূপে জায়গা করে নিতে চলেছে আন্তর্জাতিক স্তরে।
আগামী ৪ নভেম্বর ওয়ার্ল্ড ফুড ইন্ডিয়া অনুষ্ঠানে রেকর্ড পরিমাণ খিচুড়ি রান্না হতে চলেছে। ৮০০ কেজি খিচুড়ি রান্না হবে সেখানে। বলে রাখা ভাল, জাতীয় খাবারের সম্মান পেতে চলেছে খিচুড়ি বলে যে খবর চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তা কিন্তু এদিন নস্যাৎ করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণমন্ত্রী হরসিমরত কউর বাদল। তিনি এদিন পরিস্কার করে জানিয়েছেন, জাতীয় খাবারের স্বীকৃতি নয়, ওইদিন দিল্লিতে খিচুড়ি বিশ্বরেকর্ড গড়তে চলেছে। বিদেশি অতিথিদের সামনে ভারতীয় খাবারের মুখ হিসাবে তুলে ধরা হবে খিচুড়িকে।
যেমন সহজ রেসিপি তেমনই স্বাদে ভরপুর এই খাবারটি এবার অন্যরকম এক মাত্রা পেতে চলেছে। খিচুড়ি অনেক ভাবে রান্না করা যায়। অনেকে সবজি দিয়ে খিচুড়ি করেন। অনেকে আবার শুধু ডাল চাল দিয়েই খিচুড়ি রাঁধেন। আবার মাংস দিয়েও খিচুড়ি রাঁধা যায়। এখনও পাড়ার পুজোতে খিচুড়ি ভোগ খাওয়ার জন্য লাইন পড়ে। আগামী ৪ নভেম্বর সেই খিচুড়ির মুকুটে জুড়বে নতুন পালক। যা আপামর ভারতীয়ের কাছেই আনন্দের।