স্বপ্ন আমলা হওয়া। তার জন্য ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। গত বৃহস্পতিবার পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে কোচিংয়ে গিয়েছিলেন ভোপালের ১৯ বছরের ওই তরুণী। কোচিং সেরে সন্ধে ৭টা নাগাদ হাবিবগঞ্জ স্টেশনের কাছে রেল লাইনের ধারের রাস্তা ধরে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। স্টেশন থেকে তখন খুব বেশি হলে ১০০ মিটার দূরত্বে। অভিযোগ সেই সময়ে তাঁর হাত চেপে ধরে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এক ব্যক্তি। পরে পুলিশ জানতে পেরেছে তার নাম গোলুবিহারী চাধার। নিজের সদ্যোজাত মেয়েকে খুন করায় অভিযুক্ত গোলু আপাতত জামিনে মুক্ত। গোলু হাত চেপে ধরতেই ওই তরুণী তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। পড়ে গিয়ে গোলু হাঁক দেয় তার সম্পর্কে ভায়রাভাই ঘুন্টুকে। তারপর ২ জন মিলে ওই তরুণীকে টেনে কাছের একটি ব্রিজের তলায় নালার ধারে নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁকে নগ্ন করে চলে দফায় দফায় ধর্ষণ।
যেখানে এই নৃশংস ঘটনা ঘটছিল, তার খুব কাছ দিয়েই যানবাহন চলাচল করে। স্টেশন চত্বর বলে লোকজনও অনেক। তবু কারও নজরে আসেনি ঘটনাটি। নিজেকে আপ্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করেও পেরে ওঠেননি ওই তরুণী। তাঁর হাত পা বেঁধে চলে ধর্ষণ। এর ফাঁকেই আরও ২ জনকে ডেকে আনে গোলু। তারাও ধর্ষণে সামিল হয়। অভিযোগ পালা করে ধর্ষণের মাঝে চা আর গুটখা খাওয়ার ব্রেক নিচ্ছিল অভিযুক্তরা। এমন করে ৩ ঘণ্টা চলার পর অবশেষে তরুণীকে কিছু জামাকাপড় দিয়ে ছেড়ে দেয় তারা।
রাতে ওই অবস্থায় টলতে টলতে তরুণী কাছের রেল পুলিশের ফাঁড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকজনকে খবর দেন। সেখান থেকে তাঁরা অভিযোগ জানাতে পুলিশের কাছে হাজির হন। তাঁর বাবা-মা দুজনেই পুলিশে কর্মরত। কিন্তু তারপরও পুলিশ স্টেশনে তাঁদের শুনতে হয় তরুণী নাকি ফিল্মি গল্প ফেঁদে পুলিশে অভিযোগ করতে এসেছেন। এমনই অভিযোগ করেছে তরুণীর পরিবার। অভিযোগ নিতে অস্বীকারও করা হয়। পরে অবশ্য বাবা-মা পুলিশকর্মী জেনে অভিযোগ গ্রহণ করা হয়। পুলিশ অভিযুক্ত ৪ জনকেই গ্রেফতার করেছে।