মাত্র ৪৮ ঘণ্টা আগেই খিচুড়ি জাতীয় খাবার কিনা তা নিয়ে আলোড়ন পড়েছিল গোটা দেশে। অবশ্য সে ধন্ধ মিটিয়ে মন্ত্রী জানিয়েছিলেন জাতীয় খাবার নয়, বিশ্বের দরবারে ভারতীয় খাবারকে তুলে ধরতে খিচুড়িকেই প্রতিনিধি বেছেছে কেন্দ্র। খিচুড়ি রান্নার রেকর্ডও চাইছেন তাঁরা। সেকথা মাথায় রেখেই ৯১৮ কেজি খিচুড়ি রান্না করা হল দিল্লির ওয়ার্ল্ড ফুড ইন্ডিয়া ২০১৭ উৎসবে। যার স্বাদে আহামরি বৈচিত্র্য আনতে তরকা দেন বাবা রামদেব।
গত ৩ নভেম্বর খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রক আয়োজিত ওয়ার্ল্ড ফুড ইন্ডিয়া ২০১৭ উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরদিন শনিবার যে পেল্লাই সাইজের কড়াইতে খিচুড়ি রান্না হল সেটির ব্যাস ৭ ফুট এবং সেটিতে ১ হাজার লিটার জল ধরে। এই খিচুড়ি যজ্ঞের মূল পুরোহিত অর্থাৎ রাঁধুনি ছিলেন প্রসিদ্ধ শেফ সঞ্জীব কাপুর। চাল, মুগ ডাল, নটে শাক, জোয়ার, বাজরা, ঘি এবং ভারতীয় মশলা সমৃদ্ধ এই খিচুড়ি খাওয়ানো হবে ৬০ হাজার অনাথ শিশুকে। শুধু তাই নয়, এটির রেসিপি পাঠানো হবে বিদেশমন্ত্রকের শীর্ষকর্তাদেরও। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী হরসিমরত কউর বাদল জানান, খিচুড়ি ভারতের এমন একটি জনপ্রিয় ও পুষ্টিকর খাদ্য যেটি ধনী-দরিদ্র, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল ভারতবাসী খেয়ে থাকেন। রসনা তৃপ্তিতেও এর জুড়ি মেলা ভার।