প্রেমের আহ্বানে সাড়া না দেওয়ার মাশুল গুনতে হল চেন্নাইয়ের এক ২২ বছর বয়সী ছাত্রীকে। ওই ছাত্রী চেন্নাইয়ের মাদুভাঙ্কারাইয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে থাকেন। অভিযোগ, তাঁর সমবয়সী রাহুল নামে একটি ছেলে দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে প্রেম নিবেদন করে বিরক্ত করছিল। কিন্তু ওই ছাত্রী তার প্রস্তাবে রাজি ছিলেননা। একসময় ধৈর্যের বাঁধ ভাঙলে রাহুলের সঙ্গে উঁচু গলায় কথা বলে ফেলেন তিনি। আর তারপরেই পকেট থেকে ব্লেড বার করে রাহুল ক্ষতবিক্ষত করে দেয় তাঁর মুখ। যন্ত্রণায় চিৎকার করে উঠলে স্থানীয় লোকজন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে ওই ছাত্রীর অভিযোগ পেয়ে চেন্নাই পুলিশ রাহুলকে গ্রেফতার করে।
মেয়েকে যে রাহুল নামে ওই যুবক উত্ত্যক্ত করে তা আগে থেকেই জানতেন ওই ছাত্রীর অটোচালক বাবা। কিন্তু পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে তিনি রাহুলকে শুধু সাবধান করে ছেড়ে দিয়েছিলেন। মেয়ের সঙ্গে এমন ভয়ানক ঘটনা ঘটে যাওয়ায় শেষ অব্ধি পুলিশের দ্বারস্থ হন ছাত্রীর বাবা। কিন্তু একটাই শর্ত ছিল তাঁর। মেয়ের পরিচয় গোপন রাখতে হবে।
২০১৬-তে একই কারণে চেন্নাইয়ে ইনফোসিসের এক কর্মচারীকে নৃশংসভাবে খুন হতে হয়েছিল। প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে অ্যাসিড হামলা, মুখে ক্ষুর চালিয়ে দেওয়া বা একদম প্রাণে মেরে ফেলার ঘটনায় আতঙ্কিত দেশের তরুণী-যুবতীরা। শুধু চেন্নাই নয়, দেশের একাধিক রাজ্যে মেয়েদের উপর ব্যর্থ প্রেমিকদের হামলার ঘটনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, পুলিশ ও প্রশাসনের তৎপর না হওয়ার মাশুল আর কতজনকে দিতে হবে? পছন্দ না হলেও শুধুমাত্র কি নিজেকে বাঁচানোর জন্য এখন থেকে কাউকে পছন্দ না হলেও বাধ্য হয়ে মেনে নিতে হবে মেয়েদের?