১০৫ কেজি ওজনের ঘণ্টা। সেই ঘণ্টায় টান দিতে একসঙ্গে এগিয়ে গেলেন ৪ ভিন্ন ধর্মের মানুষ। হোলি ফ্যামিলি ক্যাথলিক চার্চে উপস্থিত জনতাসহ গোটা দেশ সাক্ষী হয়ে থাকল এমন বিরল ঘটনার। ঘণ্টার দড়িতে টান পড়তেই ছড়িয়ে পড়ল সম্প্রীতির বার্তা। সোমবার এমন ঐতিহাসিক মুহুর্তের সাক্ষী থাকলেন শ্রীনগরের মানুষ।
এদিন জম্মু কাশ্মীরের হোলি ফ্যামিলি ক্যাথলিক চার্চের তরফে একটি আন্তর্ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে উদ্বোধন হয় রাজ্যের বৃহত্তম ঘণ্টাটির। ১৯৬৭ সালে ভেঙ্গে গিয়েছিল চার্চের পুরনো ঘণ্টাটি। ৫০ বছর পর সোমবার নতুন এই বিশাল ঘণ্টার উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে সপরিবারে নানা ধর্মের মানুষকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। মূল অনুষ্ঠান শেষে সমস্ত ধর্মের মানুষ মাতা মেরীর সামনে মোমবাতি প্রজ্বলন করেন। চলে প্রার্থনাপর্ব। এদিনের অনুষ্ঠান ঘিরে উপস্থিত অতিথিদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো।
ভারতবর্ষ বৈচিত্র্যের দেশ। কিন্তু ভারতবাসীর আত্মা এক। আরও একবার সেই কথার সত্যতা প্রমাণ করলেন শ্রীনগরের মানুষ। যখন কাশ্মীর নিয়ে দুই প্রতিবেশি দেশ একে অন্যকে যুদ্ধংদেহী মেজাজে আক্রমণ করে চলেছে। তখন হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান এই ৪ ভিন্ন ধর্মের মানুষের এই মহাসঙ্গমের ঘটনা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।