প্রদ্যুম্ন ঠাকুর মৃত্যু তদন্তে নয়া মোড়। প্রদ্যুম্নকে হত্যার অভিযোগে তার স্কুলের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করে গুরুগ্রাম পুলিশ। সিবিআইয়ের দাবি, পরীক্ষার তারিখ পিছনোর জন্যই ওই ছাত্র প্রদ্যুম্নকে খুন করেছিল। জেরায় সে কথা নাকি স্বীকারও করেছে ছাত্রটি। গত ৮ সেপ্টেম্বর গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র প্রদ্যুম্নের গলাকাটা নিথর দেহ পাওয়া যায় স্কুলের শৌচাগারের সামনে থেকে। প্রদ্যুম্ন হত্যাকাণ্ডে পুলিশ প্রথমে গ্রেফতার করে স্কুলের বাস কন্ডাক্টর অশোক কুমারকে। মৃত শিশুকে যৌন হেনস্থা ও খুনের অভিযোগ আনা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। পুলিশের দাবি, জেরায় খুনের কথা স্বীকারও করেন অশোক। তবে সেখানেই তদন্ত থেমে থাকেনি।
স্কুলের বাথরুমের সামনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে আরও ৫ জনকে চিহ্নিত করেন তদন্তকারী অফিসাররা। যাদের মধ্যে ধৃত একাদশ শ্রেণির ছাত্রকে ঘটনার আগে বাথরুমে ঢুকতে দেখা যায়। এর আগে বহুবার ওই ছাত্রকে তার বাড়িতে জেরা করা হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার সিবিআই ওই নাবালককে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেয়। ধৃত বালকের মানসিক সমস্যা আছে বলে দাবি গোয়েন্দাদের। হত্যাকাণ্ডের আগে সে বন্ধুদের সঙ্গে পরীক্ষা বাতিল হয়ে যাওয়া নিয়ে কথা বলেছিল বলে জানা গেছে। এমনকি বাথরুমের ভিতর যে ধারাল ছুরিটি পাওয়া যায়, সেটি সে কোনও বন্ধু বা অন্য কারও থেকে জোগাড় করেছিল বলে পুলিশের অনুমান।
ছাত্রটির পরিবারের দাবি পুলিশ চাপ দিয়ে তাঁদের ছেলেকে বয়ান দিতে বাধ্য করেছে। তাঁদের ছেলেই বরং সেদিন রক্তাক্ত প্রদ্যুম্নের কথা বাকিদের জানিয়েছিল। মিথ্যা অভিযোগে তাঁদের ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে বলেও দাবি করেছে ওই ছাত্রের পরিবার। এদিকে প্রদ্যুম্নের বাবা বরুণ ঠাকুর এদিন ফের একবার দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেন।