National

প্রদ্যুম্ন হত্যা রহস্য, ১২৫ জন ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই

প্রদ্যুম্নের হত্যাকারীর সন্ধানে ১২৫ জন ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। দিনের পর দিন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। বাদ যাননি রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং সন্দেহভাজন ছাত্রদের অভিভাবকরাও। প্রদ্যুম্ন হত্যাকাণ্ডের তদন্তে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। এক ছাত্রের অভিভাবকের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে সন্দেহভাজন ছাত্রদের রক্তের নমুনাও সংগ্রহ করেছিল সিবিআই। গত ৮ সেপ্টেম্বর স্কুলের বাথরুমের কাছে উদ্ধার হয় দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র প্রদ্যুম্নের নলিকাটা রক্তমাখা দেহ। এরপর যৌথভাবে ঘটনার তদন্তে নামে হরিয়ানা পুলিশ ও সিবিআই। গ্রেফতার করা হয় স্কুল বাসের কন্ডাক্টর অশোক কুমারকে। সে প্রদ্যুম্নকে খুন করার কথা স্বীকারও করে। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজ হাতে পাওয়ার পর তদন্তের মোড় ঘুরে যায়।

প্রদ্যুম্নকে মারার আগে শৌচালয়ে ৫ জনকে ঢুকতে দেখা যায়। প্রদ্যুম্ন হত্যাকাণ্ডে তাদের ভূমিকা কি তা জানতে তৎপর হয়ে ওঠেন গোয়েন্দারা। হত্যাকারী কে তা নিশ্চিত হতে স্কুলের দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। দফায় দফায় চলে জেরাপর্ব। ৭ নভেম্বর গ্রেফতার করা হয় ওই স্কুলের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রকে। পড়াশোনায় অমনোযোগী ছাত্রটি পরীক্ষা পিছতে প্রদ্যুম্নকে খুন করে বলে দাবি সিবিআইয়ের। ওই ছাত্র সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে সিবিআইয়ের হাতে উঠে এসেছে একের পর এক চমকে দেওয়ার মত তথ্যও। যে ছুরি দিয়ে প্রদ্যুম্নের গলা কাটা হয়েছিল, তেমনি একটি ছুরি ঘটনার দিন সে স্কুলে নিয়ে এসেছিল। স্কুলে বাচ্চাদের মারধর করা, তাদের ভয় দেখানো এইসব কাজে ধৃত ছাত্র সিদ্ধহস্ত ছিল বলেও জানা গেছে। এমনকি ৮ সেপ্টেম্বর বাথরুম যাওয়ার আগে সে অশ্লীল ভিডিও দেখেছিল বলে নিশ্চিত সিবিআই। এদিকে ধৃত ছাত্রের পরিবারের পাল্টা দাবি, তাদের ছেলের জামায় তো প্রদ্যুম্নের রক্ত পাওয়া যায়নি। তাহলে তাকে গ্রেফতার করা হল কেন? তাঁদের দাবি, মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে তাঁদের সন্তানকে।



Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button