রাজধানী দিল্লিতে বায়ুদূষণের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে গোটা সপ্তাহের জন্য সব স্কুল বন্ধের নির্দেশ দিল সরকার। আগামী ২ দিন প্রবীণদের বাড়ির বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। শহরে জারি হয়েছে ‘জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা’।
পথচলতি গাড়িগুলো দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। ঘন কুয়াশার চাদরে মুখ ঢেকেছে দিল্লি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু বায়ুদূষণের যে মাত্রাকে নিরাপদ সীমা বলে মনে করে, দিল্লির সিংহভাগ এলাকায় বায়ুর দূষণ তার তিরিশ গুণ বেশি। বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, ধোঁয়াশার কারণে মানুষ কাশি, গলা-চোখ জ্বালার মতো সমস্যা নিয়ে হাজির হচ্ছেন। খোদ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ইতিমধ্যেই দিল্লিকে ‘গ্যাস চেম্বার’ আখ্যা দিয়েছেন। রাজনৈতিক মহলেও এই দূষণ নিয়ে চলছে দোষারোপ পাল্টা দোষারোপের পালা। যদিও অনেকের দাবি রাজধানীতে শীতের মুখে এই দূষণ নতুন কিছু নয়। পঞ্জাব, হরিয়ানা ও রাজস্থানে ফসল পোড়ানো, ১৫ বছরে ৯২% গাড়ির বৃদ্ধি, নয়ডা ও গুরগাঁওয়ের শিল্পদূষণকেই পরিবেশবিদরা দিল্লির দূষণের জন্য কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। কিন্তু দূষণ যেখানে পৌঁছেছে তাতে দিল্লিতে সুস্থভাবে বাঁচা দায় হয়ে উঠেছে বাসিন্দাদের।