কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে একের পর এক বেরিয়ে পড়ছে কেউটে। প্রদ্যুম্ন হত্যাকাণ্ডে বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও তথ্য লোপাটের অভিযোগে এবার নজরবন্দি করা হল ৪ পুলিশ অফিসারকে। সিবিআই সূত্রের দাবি, প্রদ্যুম্ন খুনে অভিযুক্ত রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রকে জেরা করে ওই ৪ পুলিশ অফিসার সম্পর্কে এমন মারাত্মক তথ্য উঠে এসেছে সিবিআইয়ের হাতে। সিবিআই সূত্রের খবর, ওই ছাত্রের বয়ানের ভিত্তিতে খুব তাড়াতাড়ি গ্রেফতার করা হতে পারে অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকদের।
গত ৮ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র প্রদ্যুম্ন ঠাকুরের গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয় স্কুলের শৌচাগারের সামনে থেকে। ঘটনার তদন্তে নেমে প্রদ্যুম্নকে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় স্কুলের বাস কন্ডাকটর অশোক কুমারকে। এরপর গুরুগ্রাম পুলিশের তদন্তের উপর ভরসা রাখতে না পেরে সিবিআই হস্তক্ষেপের দাবি জানান প্রদ্যুম্নের বাবা। সিসিটিভি ফুটেজ ও রক্তের নমুনা সংগ্রহের পর গ্রেফতার করা হয় রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রকে। জেরায় সে স্বীকার করে পরীক্ষা পিছাতেই সে প্রদ্যুম্নকে মারার ছক কষে। পূর্ব পরিচিত হওয়ার জন্য হত্যাকাণ্ডের দিন তার সঙ্গে সরল বিশ্বাসে প্রদ্যুম্ন বাথরুমে যায়। তারপর বাজার থেকে কেনা ছুরি দিয়ে ছোট্ট শিশুর গলার নলি কেটে দেয় সে। দুধের শিশুকে নৃশংসভাবে হত্যা করার ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন স্কুলের বাকি ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা। গত রবিবারও স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।