বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল অশান্তি। ক্রমশ তা চরম আকার নিচ্ছিল। একসময়ে দাম্পত্য কলহ এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে স্ত্রী লোটাকম্বল গুছিয়ে পতিগৃহ ছেড়ে চলে যান তাঁর এক কাকার কাছে। এখানেই শেষ নয়, এরপর তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ নিয়ে পৌঁছে যান পুলিশ স্টেশনেও। ঝাঁসি পুলিশের পরিবার পরামর্শ কেন্দ্র স্ত্রীর অভিযোগক্রমে ডেকে পাঠায় স্বামীকে। পুলিশের সামনে ফের মুখোমুখি হন স্বামী-স্ত্রী। এই অবস্থায় সাধারণত হয় দুজনে মুখ থম করে পরস্পরকে না চেনার ভান করে দাঁড়িয়ে থাকেন। অথবা একে অপরের সঙ্গে পুলিশের সামনেই প্রবল ঝগড়া শুরু করে দেন। পুলিশও এসব দেখে দেখে অভ্যস্ত। কিন্তু এদিন তাঁরা যা দেখলেন তা তাঁদের পুরো কর্মজীবনেও হয়তো ভুলতে পারবেন না।
স্বামী ঝাঁসি পুলিশের পরিবার পরামর্শ কেন্দ্রে ঢুকেই তরুণী স্ত্রীকে সামনে পেয়ে তাঁর কাছে ক্ষমা চেয়ে তাঁকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। বারবার অনুরোধেও স্ত্রীকে বোঝাতে না পেরে অবশেষে সকলের সমানে খোলা গলায় গান ধরেন স্বামী। সাম্প্রতিক সিনেমা বদলাপুর-এর ‘না শিখা জিনা তেরে বিন…’ গানে পাশ থেকে বাহ, বাহ করে ওঠেন সকলে। আর গান শুনে স্ত্রীর সব রাগ তখন গলে জল। চোখ ছলছল করছে। স্বামীর কাঁধে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করেন তিনি। স্বামী থামলেন না। স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে গেয়ে চললেন একভাবে। এমন এক আবেগঘন মুহুর্তে তখন সবাই চুপ। সবাই খুশি। গানের সুরে এভাবে দাম্পত্য কলহ মেটার দৃশ্য তাঁরা ভুলবেননা। গান শেষে স্বামীকে জড়িয়ে পতিগৃহে ফিরে গেলেন স্ত্রী। এমন মধুরেন সমাপয়েত দেশের সব দাম্পত্য কলহে হলে হয়তো দেশ থেকে পারিবারিক অশান্তি শব্দটাই নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত। তাই না? আপনারা কি বলেন!