অন্যান্য দিনের মতোই রাতের খাবার খেয়ে বাড়ির বারান্দায় ঘুমতে গিয়েছিলেন হরপ্রসাদ। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের নানাউ গ্রামের কৃষক হরপ্রসাদের পুরনো অভ্যাস ঘুমোতে যাওয়ার আগে খাটিয়ার তলাটা একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া। ঘটনার দিনও তার অন্যথা হয়নি। কিন্তু রাত বাড়তে আশপাশে কুকুরের টানা চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায় তাঁর। রাত ১২টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে টর্চ জ্বালান হরপ্রসাদ। টর্চের আলো ফেলতে তিনি লক্ষ্য করেন বেশ কয়েকটা কুকুর তাঁর খাটিয়ার নিচের দিকে একদৃষ্টে চেয়ে চেঁচিয়ে চলেছে।
কী আছে খাটের নিচে? জানতে খাটিয়ার নিচে উঁকি দিতেই আত্মারাম খাঁচাছাড়া হওয়ার যোগাড়। যে খাটিয়ায় তিনি এতক্ষণ ঘুমচ্ছিলেন, সেই খাটিয়ার নিচেই দিব্যি শুয়ে আছে একটা আস্ত কুমির। রাতবিরেতে একেবারে তাঁর শোয়ার খাটের তলায় কুমির দেখে আতঙ্কিত হরপ্রসাদ চিৎকার শুরু করেন। তাঁর ত্রাহি ত্রাহি রব শুনে সাহায্য করতে ছুটে আসেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীরাই ৫ ফুট লম্বা কুমিরকে দড়ি দিয়ে বেঁধে খবর দেন বন দফতরকে। বন দফতরের আধিকারিকরা পরদিন সকালে গ্রামে হাজির হয়ে ২ বছর বয়স্ক যুবা কুমিরটিকে উদ্ধার করে গ্রাম থেকে কিছুটা দূরে হাজারা ক্যানেলে ছেড়ে দেন। তবে কীভাবে সে গ্রামে ঢুকে এল তা এখনও কারও কাছেই পরিস্কার নয়।