ওষুধের সাথে সাথে হনুমান চালিশাও পড়ুন। সুস্থ হয়ে যাবেন। রোগীকে সুস্থ করার এমন টোটকাই দিলেন একজন চিকিৎসক। ডাক্তারবাবুর লেখা প্রেসক্রিপশনে শুধু কিছু ওষুধের নামই নেই, আছে অভিভাবকের সঙ্গে মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করার কথাও। তার সঙ্গে আবশ্যিক হনুমান চালিশা। যেখানে বিজ্ঞান ও অধ্যাত্ম্যবিশ্বাস একসঙ্গে হাতে হাত ধরে হাঁটে না সেখানে এই চেষ্টাই করলেন রাজস্থানের ভরতপুর জেলার চিকিৎসক দীনেশ শর্মা। ৬৯ বছরের এই চিকিৎসক ভরতপুরের রঞ্জিতনগর এলাকার রেলস্টেশনের পাশে চেম্বারে বসে রোগী দেখেন। যাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই গ্রাম থেকে আসা গরীব। দামি ওষুধের থেকে তাঁদের মত দিন আনি দিন খাই মানুষের কাছে ঈশ্বরের আশীর্বাদ অনেক বেশি গুরুত্ব রাখে। তাই চিকিৎসক শর্মা তাঁর প্রেসক্রিপশনে এমন ধরণের মন্তব্য করে থাকেন।
এছাড়া আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো তিনিও মনে করেন আধ্যাত্মিক উন্নতি মানুষকে শারীরিকভাবে তাড়াতাড়ি সুস্থ করে তোলে। পথ্য ও ওষুধের পাশাপাশি ঈশ্বরের আশীর্বাদও প্রয়োজন বইকি। কিন্তু একজন ডাক্তার রোগীকে সুস্থ করতে হনুমান চালিশা পড়ার দাওয়াই কী দিতে পারেন? যথারীতি তাঁর লেখা প্রেসক্রিপশনের ছবি সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে আসতে শোরগোল পড়ে যায়। চিকিৎসক শর্মা কিন্তু নিজের কাজে এতটুকুও অপ্রস্তুত নন। রোগীর মানসিক সুস্থতার জন্যই তিনি প্রেসক্রিপশনে এমনটা লিখেছেন বলে জানিয়েছেন শর্মাজি। তাঁর দাবি, বিজ্ঞানের বাইরে আধ্যাত্মিক শক্তিরও যে ভূমিকা আছে সে কথা একজন মানুষ হিসেবে মনে করিয়ে দিতেই তিনি প্রেসক্রিপশনে হনুমান চালিশার কথা লিখেছেন।