বাসন্তীকে বিয়ে করতে চেয়ে জলের ট্যাঙ্কের জন্য তৈরি উঁচু কাঠামোয় উঠে পড়েছিল বীরু। আর বউয়ের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার আর্তি নিয়ে মোবাইল টাওয়ারে উঠে পড়লেন অজয় কুমার রাও। বউয়ের কাছে ডিভোর্স আদায়ের দাবিতে মোবাইল টাওয়ারে চেপে বসেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানা রাজ্যের জগসিয়াল শহরে। বৃহস্পতিবার সাতসকালে এমন আজব ঘটনায় হতবাক হয়ে যান স্থানীয় লোকজন। থানায় খবর দিলে দ্রুত টাওয়ারের নিচে পৌঁছে যায় পুলিশ। টাওয়ার থেকে নেমে আসার জন্য চলতে থাকে কাকুতি-মিনতির পালা। বেশ কিছুক্ষণ এমন চলার পর তিনি একটি চিঠি নিচে ফেলে দেন। চিঠিতে স্ত্রীর কাছ থেকে ডিভোর্স চাওয়ার কথা লেখা ছিল। ৪ ঘণ্টার নাটকীয় দৃশ্যের সমাপ্তি হয় স্ত্রী সবার সামনে ডিভোর্সের কাগজে সই করার পর। দাবি পূরণ হতেই টাওয়ার থেকে নেমে আসেন অজয়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হেফাজতে নিয়ে নেয় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে অজয় কুমার রাও আরেপেল্লি গ্রামের ফোনের টাওয়ারে চেপে বসেন। পেশায় চিকিৎসক অজয় রাওয়ের একটাই দাবি ছিল, স্ত্রী লাস্যর থেকে ডিভোর্স চাই।
অজয়ের সঙ্গে ৭ বছর আগে বিয়ে হয় লাস্যর। তাঁদের একটি মেয়েও আছে। অশান্তির জন্য লাস্য একবার বাপের বাড়িও চলে যান। কিন্তু পরে ঝামেলা মিটে গেলে স্বামীর কাছে আবার সে ফিরে আসেন। কিন্তু ২ জনের মধ্যে কিছুতেই বনিবনা হচ্ছিল না। ৪ বছর আগে লাস্য থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে পণের জন্য অত্যাচার ও গার্হস্থ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন। এতেই ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে অজয়ের। স্ত্রীর মিথ্যে অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে ‘শোলে’-র ধর্মেন্দ্রর পথ বেছে নেন তিনি। তফাত শুধু একটাই। শোলের বীরু বাসন্তীকে পাওয়ার জন্য টাওয়ারে চেপেছিল। আর বাস্তবের বীরু, মানে অজয় বিচ্ছেদ চেয়ে টাওয়ারে চেপে বসেন। পুলিশ স্বামী-স্ত্রীকে মুখোমুখি এনে তাঁদের দাম্পত্য সমস্যা মেটাতে কাউন্সিলিং করার ব্যবস্থা নিয়েছে।