খান ১০-১২ ব্লেড, একটা শিকল, ১০-৫-২-১ মিলিয়ে ২৬৩টি বিভিন্ন মূল্যের কয়েন, কয়েকটি পেরেক, খান কয়েক সূচ, কিছু ভাঙা কাচের টুকরো। না, বাড়ির জঞ্জাল ঝাড়তে গিয়ে নয়, কোনও চোরকে বামাল সমেত পাকড়াও করেও নয়, সব মিলিয়ে ৫ কেজি ওজনের এসব জিনিস উদ্ধার হল এক ব্যক্তির পাকস্থলী থেকে। নানা, আঁতকে উঠবেন না। এখনও অনেক কিছু বাকি। বহু দিন ধরেই নাকি এসব টুকটাক পেটে চালান করে দিতেন মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার সোহাভাল এলাকার বাসিন্দা বছর ৩২-এর মহম্মদ মকসুদ। তাও আবার লুকিয়ে। মহানন্দে এসব ‘স্ন্যাকস’ উদরস্থ করায় যা হওয়ার তাই হয়েছিল। বেশ কিছুদিন ধরেই পেটে যন্ত্রণা হচ্ছিল তাঁর। দিন দুয়েক আগে তাঁর পেটে প্রবল যন্ত্রণা শুরু হয়। ব্যথা বাড়তে থাকলে তাঁকে রেওয়া জেলার সঞ্জয় গান্ধী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসেন তাঁর পরিবারের লোকজন। কেন পেটে ব্যথা তা জানতে এক্স-রে করেন চিকিৎসকেরা। আর তাতেই দেখা যায় পাকস্থলীতে বেশ কিছু ‘লোহার জিনিসপত্র’ জমা হয়ে আছে। অগত্যা অপারেশন।
মোট ৬ জন চিকিৎসকের একটি দল এই অপারেশন করেন। পেট থেকে একে একে বার করে আনা হয় কয়েন, ব্লেড, শিকল, সূচ, কাচ। সব মিলিয়ে ৫ কেজি। অপারেশনের পর চিকিৎসকদের কড়া নজরদারিতে হাসপাতালে ভর্তি মকসুদ। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি লুকিয়ে লুকিয়ে এসব অনেকদিন ধরেই খাচ্ছেন। মহম্মদ মকসুদের মানসিক ভারসাম্যের অভাব রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।