স্বামী ও পরিবারের লোকজন চাননি গর্ভে আরেকটা সন্তান আসুক। তাই ১৫ বছর আগেই গর্ভপাত করান মহারাষ্ট্রের এক মহিলা। গর্ভপাতের সাফল্য নিয়ে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ সেইসময় তাঁকে আশ্বস্তও করেন। ১৫ বছর পর প্রমাণিত হল সেদিন ওই চিকিৎসকের দেওয়া আশ্বাসবাণীতে বড় ভুল ছিল।
নাগপুরের প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা ৫২ বছরের ওই মহিলার পেটে কোনও কারণে ৪ মাসের মৃত ভ্রূণটি রয়ে গিয়েছিল। যা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি তাঁর চিকিৎসক। গর্ভপাতের কিছুদিন পর থেকেই পেটের যন্ত্রণায় ভুগতে থাকেন ওই মহিলা। বহু ডাক্তার দেখালেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। পেট ব্যথা কমানোর ওষুধ খেয়েই দিনের পর কাটাতে হয় তাঁকে। অথচ পেটের ব্যথা নিরাময়ের কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছিল না। শেষপর্যন্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। বিভিন্ন ধরণের ডায়াগনস্টিক টেস্টের ফলাফল হাতে পেতেই স্পষ্ট হয় ব্যথার মূল উৎস। মহিলার পেটের ভিতরে অনিষ্কাশিত পাথরে পরিণত মানব ভ্রূণই যে তাঁর পেট ব্যথার আসল কারণ তা বুঝতে পারেন চিকিৎসক। গত ২৩ নভেম্বর ওই মহিলার পেটে অস্ত্রোপচার করা হয়। শেষ অবধি তাঁর জরায়ুকে ১৫ বছরের পুরনো মৃত ভ্রূণমুক্ত করতে সক্ষম হন চিকিৎসকেরা।