ভিন ধর্মের মেয়েকে ভালোবাসার অপরাধে প্রাণ গেল এক যুবকের। রাজস্থানে মৃত মহম্মদ আফরাজুল খানের সেই নারকীয় হত্যাদৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। ভিডিওটি নিয়ে আপত্তিকর জটিলতা তৈরির আশঙ্কায় রাজ্যব্যাপী ইন্টারনেট পরিষেবা আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজস্থান সরকার। এরমধ্যে হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত শম্ভুলাল রেগরকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থান পুলিশ। গা শিউরে ওঠা ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, লাল-সাদা পোশাকে শম্ভুলাল আফরাজুলের উপর প্রথমে পিছন থেকে চুপিসারে গাঁইতি জাতীয় অস্ত্রের কোপ বসায়। আফরাজুল চিৎকার করে বাঁচার আর্তি জানাতে থাকেন। কিন্তু তাঁকে কোপাতেই থাকে শম্ভুলাল। একসময়ে অস্ত্রের কোপে নিস্তেজ হয়ে পড়ে আফরাজুল খানের দেহ। তখন কাছে দাঁড়ানো একটি স্কুটি থেকে তরল জাতীয় কিছু এনে শম্ভুলালকে ঢালতে দেখা যায় আফরাজুলের দেহে। তরলটি পেট্রোল জাতীয় কিছু বলেই অনুমান। এরপর আফরাজুল খানের দেহে আগুন ধরিয়ে দেয় শম্ভুলাল। ন্যক্কারজনক সেই হত্যাযজ্ঞের পুরোটাই তৃতীয় কোনও ব্যক্তি ফোনে রেকর্ড করে।
পুলিশ সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা মধ্যবয়সী ওই ব্যক্তি কর্মসূত্রে কিছুদিন আগে রাজস্থান আসেন। সেখানে শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি। হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত শম্ভুলালের বোনের সঙ্গে তাঁর একটা প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। সম্ভবত তা মানতে না পেরেই উচিত ‘শাস্তি’ দিতে ধৃত শম্ভুলাল আফরাজুলকে খুন করে বলে ধারণা পুলিশের। তবে খুনের পিছনে অন্য কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে রাজস্থানের রাজসামন্দ জেলায় রাস্তার উপর মৃত ব্যক্তির অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত কুঠার ও একটি স্কুটিও উদ্ধার করে তারা। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন রাজস্থানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যে ব্যক্তি এই ভিডিও মোবাইল ক্যামেরায় তুলে তা সোশ্যাল সাইটে আপলোড করে ছড়িয়ে দেয় তারও খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে আর কোনও কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে তারা।