প্লাস্টিক সার্জারির সাহায্যে প্রেমিককে স্বামী বানানোর পরিকল্পনায় শেষে কিনা জল ঢেলে দিল এক বাটি ‘মাটন স্যুপ’! কি করে এমনটা সম্ভব জানতে পিছতে হবে ৪ সপ্তাহ আগে। পুলিশ সূত্রের খবর, তেলেঙ্গানার একটি বেসরকারি হাসপাতালের নার্স ২৭ বছরের স্বাতীর সঙ্গে ৩ বছর আগে বিয়ে হয় ৩২ বছরের সুধাকর রেড্ডির। ৩ সন্তানের মা স্বাতীর সঙ্গে এরমাঝেই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয় পেশায় ফিজিওথেরাপিস্ট রাজেশের। সুধাকরকে হত্যা করে তাঁর সম্পত্তি হাতিয়ে নতুন করে জীবন শুরু করার পরিকল্পনা করে স্বাতী ও তার প্রেমিক।
অভিযোগ, পরিকল্পনামাফিক গত ২৭ নভেম্বর ঠান্ডা মাথায় সুধাকরকে অচৈতন্য করে মাথা থেঁতলে দেয় স্বাতীর প্রেমিক। খুনের প্রমাণ লোপাট করতে কাছাকাছি জঙ্গলে সুধাকরের দেহ নিয়ে গিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় দু’জন। ষড়যন্ত্রের শেষপর্বে প্রেমিকের মুখ নিজের হাতে অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে দেয় স্বাতী। স্বামী দুষ্কৃতিদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে বলে পরিবারকে মিথ্যা কথা বলে স্বাতী। স্বাতীর কথায় বিশ্বাস করে নকল সুধাকরের বিকৃত মুখের চিকিৎসার জন্য প্লাস্টিক সার্জারির প্রস্তুতিও নিয়ে ফেলেন আত্মীয়স্বজন। কিন্তু কল্পনাতীত ষড়যন্ত্রের পর্দা ফাঁস হয়ে যায় চিকিৎসাধীন রাজেশ মাটন স্যুপ খেতে অস্বীকার করায়।
সুধাকর তো আমিষাশী। মাটন স্যুপে অযথা তিনি আপত্তি করবেন কেন? এখানেই সন্দেহ দানা বাঁধে পরিবারের সকলের মনে। সুধাকরের ভেকধারী রাজেশের সঙ্গে কথাবার্তা বলে আরও বেশ কিছু অসঙ্গতি তাঁদের নজরে আসে। সন্দেহ দৃঢ় হওয়ায় পুলিশকে খবর দেন তারা। পুলিশি জেরায় স্বাতী ও তার প্রেমিক স্বীকার করে সিনেমা থেকে প্রভাবিত হয়ে এমন পরিকল্পনার কথা তাদের মাথায় আসে। হত্যা ও স্বামীবদল কাণ্ডের হোতা স্বাতীকে গ্রেফতার করেছে তেলেঙ্গানা পুলিশ। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলে অপর অভিযুক্ত রাজেশকে গ্রেফতার করা হবে বলেও মৃত সুধাকরের পরিবারকে আশ্বস্ত করেছে পুলিশ।