মধ্যযুগীয় প্রথাও হার মানল বিহারের গয়ার বিনোভানগর গ্রামের অমানবিক ঘটনায়। দাদার স্ত্রী অভিভাবিকা স্থানীয়া বলেই জানত কিশোর মহাদেব দাস। পরিবারের চাপের মুখে তাঁকে বিয়ে করতে হওয়ায় আত্মঘাতী হল সে। অন্তত প্রাথমিক তদন্তের পর এমনই মনে করছে পুলিশ।
সব ঠিকঠাকই চলছিল। হঠাৎ সবকিছু পাল্টে গেল দাদার মৃত্যুর পর। ৮০ হাজার টাকা হাতছাড়া হবার ভয়ে বিধবা বৌদিকে বিয়ে করার জন্য বাড়ির লোক চাপ সৃষ্টি করতে থাকে কিশোর মনের উপর। বাধ্য হয়ে বৌদিকে বিয়ে করতে রাজিও হয়ে যায় দেওর মহাদেব। কিন্তু শেষপর্যন্ত নিজের অন্তর্দংশনের কাছে হার স্বীকার করতে হল তাকে। বিয়ের ৩ দিন পর আত্মঘাতী হল মহাদেব।
পরিবার সূত্রের খবর, ২০১৩ সালে বাড়ির বড় ছেলের মৃত্যুর পর তাঁর বিধবা স্ত্রী রুবি দাসের পরিবার মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে এসে টাকার দাবিতে হুজ্জুতি করা শুরু করে। তারা দাবি জানায়, হয় মৃত জামাইয়ের টাকা তাদের মেয়েকে দেওয়া হোক। না হয় তাদের মেয়ের বৈধব্য দশা ঘোচানো হোক। এরপর মান ও টাকা দুই বাঁচাতে অপ্রাপ্তবয়স্ক ছোট ছেলের সঙ্গে বয়সে দশ বছরের বড় বৌদির বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দুই পরিবার।
গত সোমবার সন্ধ্যাবেলা বিয়ের অনুষ্ঠান মিটে যাওয়ার পরেও আত্মীয় স্বজনের গুঞ্জনে তখনও বাড়ি মুখরিত। সেইসময় এক ফাঁকে নিজের ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে অভিমানী অপমানিত কিশোর মহাদেব। পরে অভিযোগ পেয়ে বাল্যবিবাহ আইনের ধারায় অভিযুক্ত দুই পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ।