প্রদ্যুম্ন হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ছাত্র বয়সে নাবালক হলেও তাকে সাবালক ধরেই এগোবে বিচার প্রক্রিয়া। বুধবার একথা জানিয়ে দিল জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড। গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র প্রদ্যুম্ন ঠাকুরের হত্যার ঘটনার ১৭ বছরের এক ছাত্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেও ওই স্কুলেরই পড়ুয়া।
ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী ১৮ বছরের নিচের কোনও অভিযুক্তের বিচার জুভেনাইল কোর্টে হয়। তাকে নাবালক ধরে বিচার প্রক্রিয়া এগোয়। কিন্তু প্রদ্যুম্নের পরিবার এই ঘটনায় গ্রেফতার ওই ছাত্রের বিচার তাকে সাবালক ধরে করতে আদালতে আর্জি জানান। গুরুগ্রামের একটি জেলা ও দায়রা আদালত সেই আবেদন ফিরিয়ে দিলেও বুধবার জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রের বিচার জেলা ও দায়রা আদালতে শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে। এতে খুশি প্রদ্যুম্নের পরিবার।
নির্ভয়া কাণ্ডে দোষীদের একজন ছিল নাবালক। তার বিচার জুভেনাইল কোর্টে হয়। তখনই দাবি উঠেছিল ওই কিশোর যে কাণ্ড ঘটিয়েছে তাতে তাকে সাবালক ধরেই বিচার হওয়া উচিত। তখন না হলেও এবার প্রদ্যুম্নের ক্ষেত্রে অভিযুক্তের বিচার সাধারণ আদালতেই হবে।
প্রসঙ্গত গত ৮ সেপ্টেম্বর স্কুলের বাথরুমের পাশ থেকেই উদ্ধার হয় প্রদ্যুম্নের রক্তাক্ত দেহ। প্রথম গ্রেফতার করা হয় স্কুল বাসের কন্ডাক্টরকে। পরে গোয়েন্দারা তদন্তে নেমে গ্রেফতার করেন ওই স্কুলেরই একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রকে। পরীক্ষার প্রস্তুতি ঠিকঠাক ছিল না। তাই পরীক্ষা পিছতেই সে প্রদ্যুম্নকে হত্যা করে বলে অভিযোগ। আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হবে তার বিচার প্রক্রিয়া।