বছর দুয়েক আগে তাঁরা একসঙ্গেই একটি অফিসে কাজ করতেন। তখন তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতাও তৈরি হয়। পরে কার্তিক কাজ ছেড়ে দেয়। তারপর শেষ একবছর সে বেকার অবস্থায় দিন কাটাচ্ছিল। কিন্তু তখনও সে তার সহকর্মী সন্ধ্যা রানির প্রেমে পাগল। কিন্তু ক্রমশ ২২ বছরের সন্ধ্যা তার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করেন।
হায়দরাবাদের কাছে সেকেন্দরাবাদের একটি অফিসে রিসেপশনিস্টের কাজে কর্মরত সন্ধ্যা রানি গত বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা বাড়ি ফিরছিলেন। পুলিশ জানাচ্ছে, তখনই রাস্তায় তাঁর পথ আটকে বাইক নিয়ে দাঁড়ায় কার্তিক।
২ জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। তারপর আচমকাই একটা জার বার করে সন্ধ্যার গায়ে কেরোসিন ঢেলে দেয় কার্তিক। ধরিয়ে দেয় আগুন। রাস্তার ওপরই দাউদাউ করে জ্বলতে থাকেন ২২ বছরের ওই তরুণী। চম্পট দেয় কার্তিক।
স্থানীয় লোকজন এসে আগুন নিভিয়ে সন্ধ্যা রানিকে দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে কার্তিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানাচ্ছে, কার্তিক নাকি দাবি করেছে সে বেশ কিছুদিন ধরেই সন্ধ্যাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করছিলেন না সন্ধ্যা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।