গণধর্ষণের বিষাক্ত সংক্রমণের কবলে দেশ। সেই সংক্রমণের কবলে কখনও দিল্লি, কখনও কামদুনি, কখনও পুনে। ৮ বছরের নাবালিকাকে ৬ জনের গণধর্ষণের ঘটনার সেই সংক্রমণের ঘটনা প্রকাশ্যে এল গত বৃহস্পতিবার। সূত্রের খবর, বেশ কয়েক মাস ধরেই পুনের কোন্দওয়া এলাকার বাসিন্দা ঐ নাবালিকার উপর লাগাতার যৌন নির্যাতন চালাত ৬ অভিযুক্ত। যাদের মধ্যে এক কিশোর পূর্বপরিচিত বলে দাবি নির্যাতিতার পরিবারের। বাকিদের সকলের বয়স ৬ থেকে ১৪-র মধ্যে।
চকোলেট বা মিষ্টি খাওয়ানোর নামে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে ঐ কিশোর যে তার বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে মেয়ের সর্বনাশ করছে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি নাবালিকার বাড়ির লোক। তাঁরা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, কিছুদিন আগে থেকে মেয়ে পেটে অসহ্য যন্ত্রণার কথা বলছিল। তাই তাকে দেখাতে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান নাবালিকার বাড়ির লোক। নাবালিকাকে পরীক্ষার পর সন্দেহ হয় চিকিৎসকের। তার কাছে পেট ব্যথার কারণ জানতে চাইলে স্পষ্ট হয় গণধর্ষণের বিষয়টি। মুখ খুললে তাকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলেও চিকিৎসককে জানায় নিগৃহীতা নাবালিকা।
কয়েক মাস ধরে মেয়ের উপর হওয়া যৌন অত্যাচারের বিষয়ে দ্রুত কোন্দওয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে পরিচিত কিশোরকে গ্রেফতার করে জেরা শুরু করেছে পুলিশ। বাকিরা পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।