ব্রিটিশ-পেশোয়া যুদ্ধের ২০০ বছর পূর্তিকে কেন্দ্র করে পয়লা জানুয়ারি ২টি মিছিল বার হয়েছিল পুনের ভীমা কোরেগাঁও-তে। সেই সময়ে এই ২ দলের মধ্যে ঝগড়া লাগে। শুরু হয় হাতাহাতি। সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ২৮ বছরের এক দলিত যুবক রাহুল পাতাঙ্গলের। এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার বেলা বাড়তেই রাস্তায় নামেন রিপাবলিকান পার্টি অফ ইন্ডিয়ার সদস্যরা। শুরু হয় তাণ্ডব। রেল রোকো থেকে বাসে ভাঙচুর। পথ অবরোধ থেকে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। সবই চলতে থাকে দেদার। মুম্বইয়ের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে গণ্ডগোল। অনেক জায়গায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি, বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। শুধু মুম্বই বলেই নয়, মহারাষ্ট্রের অনেক জায়গায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ফলে জনজীবনে তার প্রভাব পড়ে। অনেক রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দোকানপাটের ঝাঁপ নামিয়ে দেন বিক্রেতারা। বেশ কিছু দোকানেও ভাঙচুর চালান উত্তেজিত জনতা। ঘাটকোপার, চেম্বুর, মুলুন্দ কার্যত বন্ধের চেহারা নেয়। থানে ও পাওয়াইতেও প্রায় একই অবস্থার সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন প্রতিবাদীরা। শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অনেক জায়গায় বিশাল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। খুব দরকার না পড়লে মানুষ রাস্তায় বার হননি। যানবাহন শূন্য অবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় অনেক জায়গায় পথচলতি মানুষ সমস্যায় পড়েন। হারবার লাইনে ট্রেন চলাচলও বিঘ্নিত হয়।
এদিন বিক্ষোভকারীদের শিকার হয়েছে অনেকগুলি বেস্টের বাস। অন্যদিকে যে যুবকের সোমবার মৃত্যু হয় তার মৃত্যুর ঘটনার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। তাঁর দাবি, মঙ্গলবার মুম্বই সহ মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রান্তে যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে তা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। তবে পুলিশ অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছেও বলেও দাবি করেন তিনি।
প্রসঙ্গত প্রতি বছরই ব্রিটিশ-পেশোয়া যুদ্ধের বর্ষপূর্তি পালন করেন দলিতরা। তাঁদের বিশ্বাস ব্রিটিশরা পেশোয়াকে হারাতে পেরেছিল শুধু তাঁদের জন্য। দলিত সেনাই ব্রিটিশকে জিততে সাহায্য করেছিল। কারণ দলিতদের ওপর সেসময়ে পেশোয়ারা অত্যাচার চালাত। যার বদলা নিতেই ব্রিটিশদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরা।
(ছবি – সৌজন্যে – ফেসবুক)