
কদিনে শহরে তাপমাত্রার পারদ পড়েছে উল্কার গতিতে। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে কুয়াশার দাপট। কলকাতায় শেষ কদিনে ঘুম ভেঙে সূর্যের মুখ দেখেননি শহরবাসী। ঘন কুয়াশায় ঢাকা থেকেছে আকাশ। বেলা ৯টা সাড়ে ৯টার পর রোদ উঁকি দিয়েছে। কুয়াশার ফাঁক গলা রোদ তেজ বাড়াতে নিয়েছে আরও ঘণ্টা খানেক। ফলে কলকাতায় ভাল রোদ পেতে ঘড়ির কাঁটা ঘুরেছে বেলা সাড়ে ১০টায়। কলকাতায় কুয়াশার প্রবল দাপটের তেমন রেকর্ড নেই। তাতেই এই অবস্থা। গ্রামের দিকে অবস্থা আরও করুণ। এ থেকেই অনুমেয় যে উত্তর ভারতের অবস্থাটা কী!
গত নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকেই উত্তর ভারত জুড়ে ঘন কুয়াশার দাপটে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হতে শুরু করে। সেই অবস্থা শীত যত জাঁকিয়ে পড়েছে ততই বেড়েছে। একে প্রবল ঠান্ডা। অনেক জায়গায় ঠান্ডার প্রকোপ হিমাঙ্কের কাছাকাছি পৌঁছেছে। তারমধ্যে ঘন কুয়াশায় সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষকেও ঠাওর করা মুশকিল হচ্ছে। অনেক জায়গায় কুয়াশার দাপটে সারাদিনই মনে হচ্ছে সবে যেন ভোর হল! জনজীবনও ব্যাহত। আর ব্যাহত ট্রেন চলাচল। উত্তর ভারতের বহু ট্রেন প্রায় ১ দিন দেরিতে চলছে! ৫, ৮, ১০, ১৫ ঘণ্টা দেরি তো এখন গা সওয়া। প্রায় সব ট্রেনই এমন দেরি বজায় রাখছে। দৃশ্যমানতা তলানিতে ঠেকায় কোনও ঝুঁকি নিতে পারছেন না চালকরা। ফলে একের পর এক ট্রেন বাতিলও হচ্ছে। নাকাল হচ্ছেন যাত্রীরা।
প্রতি বছরই দেখা যায় জানুয়ারি পার করার পর উত্তর ভারত জুড়ে এই কুয়াশার দাপট ক্রমশ কমে আসে। দৃশ্যমানতা বাড়তে থাকে। স্বাভাবিক হতে থাকে ট্রেন চলাচল। তবে তার এখনও ঢের দেরি। তার আগে আপাতত উত্তর ভারত কুয়াশার চাদরে ঢাকা।