সতীন কাঁটা নারীদের কাছে এক বড় সমস্যা। সতীনের সঙ্গে স্বামীকে ভাগ বাটোয়ারার বিষয়টি মানতে পারেন না কোনও মহিলাই। ভোপালের নিশাতপুর শহরের বাসিন্দা আয়েশাও তার ব্যতিক্রম নয়। তাই সতীন কাঁটা উপড়ে ফেলতে স্বামীর তৃতীয় স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে সে। তবে বরাত জোরে বেঁচে যান গুরুতর আহত আয়েশার সতীন শবনম।
পুলিশ সূত্রে খবর, ভোপালের নিশাতপুর এলাকার বাসিন্দা সালিম পেশায় একজন নিরাপত্তারক্ষী। শবনম তাঁর তৃতীয় স্ত্রী। আর আয়েশা তাঁর চতুর্থ পত্নী। স্বামীর সঙ্গে সুখে সংসার করার পথে আয়েশার কাছে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন শবনম। অভিযোগ, আয়েশা স্বামী সালিমকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে শবনমের উপর। শবনম একাধিকবার স্বামীকে ডিভোর্স দিতে অসম্মতি প্রকাশ করেন। প্রবল রাগে আয়েশা তখন মায়ের সঙ্গে মিলে শবনমের গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ শবনমের।
গুরুতর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় স্থানীয়দের সাহায্যে শবনমকে ভর্তি করা হয় নিকটবর্তী হাসপাতালে। তাঁর শরীরের ৫০ ভাগ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। শবনমের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত আয়েশা। সতীনকে পুড়িয়ে মারার কাজে মেয়েকে ইন্ধন দেওয়ায় গ্রেফতার করা হয়েছে আয়েশার মাকেও।