রাত তখন ৩টে। হংকংয়ের উদ্দেশে পাড়ি দিতে তৈরি জেট এয়ারওয়েজের বিমান। তখনই আচমকা দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে উড়ানে প্রস্তুত বিমানে হানা দেন ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্সের বেশ কয়েকজন আধিকারিক। সূত্রের খবর, প্রথমেই তাঁরা বিমান সেবিকাদের ব্যাগ পরীক্ষা শুরু করেন। এই সময়ে দেবশি কুলশ্রেষ্ঠ নামে বছর ২৫-এর এয়ার হোস্টেসের ব্যাগ থেকে পাওয়া যায় একটি অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে জড়ানো প্রচুর ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য ৩ কোটি ২১ লক্ষ টাকা। তখনই তাকে গ্রেফতার করা হয়। ডিআরআই-এর তরফে জানানো হয়, শুধু দেবশি বলেই নয়, তাঁরা হাওয়ালা কারবারি অমিত মালহোত্রা নামে এক যুবককেও গ্রেফতার করেছে।
এই অমিতের সঙ্গে বিমানেই আলাপ হয় দেবশির। পরে অমিত তাকে দিয়ে হংকংয়ে ডলার পাঠানো শুরু করে। যার বদলে সেখান থেকে সোনা ঢুকত ভারতে। এই চোরাচালানে ডলার হংকংয়ে পাঠানোর কাজ দেবশিকে দিয়ে করানো শুরু করে অমিত। গোয়েন্দাদের অনুমান, বেশ কয়েকবার ইতিমধ্যেই দেবশি ডলার পাচার করেছে। এবারও যথেষ্ট ভেবে চিন্তেই অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে ডলার নিয়েছিল সে। যাতে স্ক্যানারে ধরা না পড়ে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। দেবশিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও কারা এই চক্রে যুক্ত তার খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।