পশ্চিমবঙ্গের সবাই তাঁর ভাই বোন। কিন্তু গোর্খাদের ভাষা, পোশাক, সংস্কৃতি ভিন্ন। তাই গোর্খাদের স্বাভিমান রক্ষার আন্দোলন করেন তিনি। তাও সংবিধানের মধ্যে থেকে। এদিন আচমকা বেশ কয়েকমাস অজ্ঞাতবাসের শেষে দিল্লিতে প্রকাশ্যে এসে এমনই দাবি করলেন বিমল গুরুং।
কিছু মাস আগেও তাঁর নির্দেশ ছাড়া পাহাড়ে গাছের পাতা নড়তনা। এমনই দাপট ছিল তাঁর। পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে গত বছরের জুন মাস থেকে আগুন জ্বলে পাহাড়ে। অভিযোগ ছিল বিমল গুরুংয়ের প্রত্যক্ষ উস্কানিতেই এই আন্দোলন ভয়ংকর চেহারা নেয়। রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার লুক আউট নোটিস জারি করে। তাঁর পাতলেবাসের বাড়ি ও অফিসে বারবার হানা দেয় পুলিশ। বাজেয়াপ্ত হয় অনেক অস্ত্র। বিমল গুরুং পাহাড় থেকে বেপাত্তা হয়ে যান। তাঁর খোঁজে সিকিম পর্যন্ত ছোটে পুলিশ। কিন্তু বেশ কয়েকবার হাত ফস্কে পালাতে সক্ষম হন এই গোর্খা নেতা। এরপর সিংলার জঙ্গলে এসআই অমিতাভ মালিকের মৃত্যুর পর সেই যে ছোট রঙ্গিত নদী পেরিয়ে বিমল গুরুং জঙ্গলে গা ঢাকা দেন, তারপর থেকে কেমন যেন ভ্যানিস হয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
এদিকে তাঁর জায়গায় মোর্চার ভিন্নপন্থী নেতা বিনয় তামাংয়ের হাতে জিটিএ-র দায়িত্ব সঁপে মোক্ষম চাল চালেন মুখ্যমন্ত্রী। দু টুকরো হয়ে যাওয়া মোর্চায় বিমলপন্থীরা ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে যান। এদিকে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের দাবি এদিন বিমল গুরুং প্রকাশ্যে এসে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার পথে যাওয়ার ইচ্ছাই প্রকাশ করেছেন। গত বছর পাহাড় যখন জ্বলছে, তখন বারবার মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে আলোচনার আহ্বান জানান হয়েছিল। কিন্তু তখন বিমল গুরুং কোনও আলোচনার পথে যাওয়ায় উৎসাহ দেখাননি। ফলে এখন রাজ্য সরকার কী অবস্থান নেয় সেদিকে চেয়ে আছেন অনেকে।