কিশোরীর মুখ, ঠোঁট, ঘাড় ও বুকে নৃশংস আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বুকের ওপর বসে পড়ায় ফেটে গেছে ফুসফুস। গোপনাঙ্গে অনেকগুলি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সেইসঙ্গে একটি ভোঁতা বস্তু ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে তার গোপনাঙ্গে। অত্যাচারে কিশোরীর লিভারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে যে বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছিল তাও তার আঘাতের চিহ্ন থেকে পরিস্কার। দেহের প্রাথমিক পরীক্ষা করে এমনই জানিয়েছেন ফরেনসিক চিকিৎসক। তিনি আরও জানিয়েছেন, কিশোরীর ২ দিন আগেই মৃত্যু হয়েছে। গণধর্ষণের পর তার ওপর ৩-৪ জন পাশবিক অত্যাচার চালায় বলে তাঁর অনুমান।
ঘটনার ভয়াবহতা বলে দিচ্ছে দিল্লির নির্ভয়াকাণ্ডে যেভাবে কিছু বিকৃতকাম মানুষ গণধর্ষণ করেই থেমে থাকেনি, নির্ভয়ার ওপর চালিয়েছিল পৈশাচিক অত্যাচার। হরিয়ানার ঝিন্দ এলাকায় একটি নালার ধার থেকে উদ্ধার হওয়া অর্ধনগ্ন কিশোরীর দেহও সেই কাহিনির পুনরাবৃত্তির ভয়ংকর ছবি তুলে ধরেছে। আলুথালুভাবে একটি জামা পরিহিতা অবস্থায় ১৫ বছরের ওই কিশোরীর দেহ গত শনিবার উদ্ধার হয়। পুলিশ জানতে পারে ওই কিশোরী কুরুক্ষেত্রের একটি গ্রামের বাসিন্দা। গত মঙ্গলবার সে শিক্ষকের কাছে পড়তে বাড়ি থেকে বার হয়। তারপর থেকে তার আর কোনও খোঁজ মেলেনি। যে যুবকের সঙ্গে তাকে শেষবার দেখা গিয়েছিল, সেও বেপাত্তা।
এদিকে এই ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রবল অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কিশোরীর পরিবার। কিশোরীর বাবার দাবি, তাঁর মেয়েকে অপহরণ করে ধর্ষণ করা হয়েছে। তার ওপর অকথ্য অত্যাচার হয়েছে। প্রশাসন তার কাজ ঠিকমত করলে এমন ঘটনা কখনই ঘটত না।
দশম শ্রেণির এই কিশোরীর নৃশংস হত্যার ঘটনা ইতিমধ্যেই শোরগোল ফেলে দিয়েছে। ঘটনার তদন্তে ২টি তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এক অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা গেছে বলে দাবি করেছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর।