
তামিলনাড়ুর বুল ফাইট বলে পরিচিত জাল্লিকাট্টুর বলি হলেন এক যুবক। এদিন তাঁকে শিংয়ে গেঁথে ফেলে এক উন্মত্ত ষাঁড়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর মাদুরাইতে। ৩০ জন আহতও হয়েছেন। তাঁদের বেশ কয়েকজনের আঘাত গুরুতর।
পশুদের ওপর নির্মম অত্যাচারের অভিযোগকে সামনে রেখে ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তামিলনাড়ুর ‘জাল্লিকাট্টু’। কিন্তু রাজ্য জুড়ে প্রবল বিরোধিতার মুখে গত বছর তামিলনাড়ু সরকার একটি আইন পাস করে, যাতে সুপ্রিম নির্দেশকে বাইপাস করে জাল্লিকাট্টু ফের শুরু হয়। নিয়ম হল তামিলনাড়ুর শস্য ঘরে তোলার উৎসব পোঙ্গলের তৃতীয় দিন অর্থাৎ মাত্তু পোঙ্গল-এর দিন জাল্লিকাট্টু পালিত হয়। এখানে ষাঁড়েদের একটি ঘেরা জায়গায় ছেড়ে দেওয়া হয়। আর বহু মানুষ তার শিং বা কুঁজ ধরার চেষ্টা চালান। ষাঁড়-মানুষের লড়াইয়ের এই বদ্ধভূমির ঘেরা জায়গার শেষ প্রান্তকে বলা হয় ‘কালেকশন পয়েন্ট’। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার তার কাছেই পৌঁছে গিয়েছিলেন ১৯ বছরের তরুণ প্রতিযোগী কালিমুথু। সেখানেই সময়ে ঘুরতে না পারায় একটি ষাঁড় শিংয়ে গেঁথে ফেলে তাঁকে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
প্রতি বছরই জাল্লিকাট্টুর প্রতিযোগীরা আহত হয়ে থাকেন। আগে যে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি এমনও নয়। তবে জাল্লিকাট্টুর আয়োজনের সঙ্গে যুক্তদের একাংশের দাবি, এই প্রতিযোগিতায় এটুকু ঝুঁকি থাকেই। এই ঝুঁকি নিয়েই প্রতিযোগীরা নাম দেন। আহতও হন। তবে মৃত্যুর ঘটনা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করছেন তাঁরা।